(সোমবারের পর)
গোয়েন্দা গিন্নির ইউএসপি কী?
দেখুন, আমরা কোনও নেগেটিভিটি দেখাই না। টিপিক্যাল ডেলি সোপে ননদ মানেই খারাপ, শাশুড়ি মানেই দজ্জাল— আমরা তা দেখাই না। দর্শক এটা খুব পছন্দ করেন। সত্যিই তো বাস্তবে কারও সবটাই খারাপ, বা কারও সবটাই ভাল হতে পারে না।
পরমা আর ইন্দ্রাণীর মধ্যে কতটা মিল?
অনেকটা। আমিও সকলকে নিয়ে থাকতে ভালবাসি। পরমাও তাই। সে কারণে চরিত্রটা আত্মস্থ করতে আমার সময় লাগেনি।
ইন্দ্রাণী কি পরমার মতো সাবেকি সাজ ভালবাসেন?
না। ব্যক্তি ইন্দ্রাণী খুব ক্যাজুয়াল। শাড়ি অনুষ্ঠান ছাড়া পরি না। শাঁখা-পলা, সিঁদুর কিচ্ছু পরি না। পরমার সঙ্গে আমার মনের দিক থেকে মিল আছে, বাহ্যিক দিক থেকে নয়।
পরমার রান্না তো হিট, ইন্দ্রাণী কেমন রান্না করেন?
(চোখ বড় বড় করে) ফ্লোরে ইন্দ্রাণীর রান্নাও খুব হিট। আমি মাঝেমধ্যেই রান্না করে নিয়ে আসি।
বউমা ডিটেকটিভদের জন্য কী সাজেশন দেবেন?
সংসারটা মন দিয়ে করুক। সংসারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে সব গোয়েন্দাগিরি। সংসার চালানোর বুদ্ধিটা ঠিকঠাক থাকলে অনায়াসে গোয়েন্দা হতে পারবেন। সবথেকে বড় গোয়েন্দা বাড়ির বউরাই। যাঁদের সবদিকে নজর।
আরও পড়ুন
‘শাশুড়িদের ট্যাঁকে পুরতে হলে রসে-বশে রাখ’
টিভি না ফিল্ম— জনপ্রিয়তা কোথায় বেশি?
টিভিতে এখন তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়। তবে একটা কথা বলতে পারি, আমরা যাঁরা ছবি করেছি তাঁদের মানুষ ব্যক্তিগত নামেই চেনেন। আর এখনকার ছেলেমেয়েদের সিরিয়ালের নামে চেনেন দর্শক। সেই জনপ্রিয়তা কিন্তু স্থায়ী নয়। আস্তে আস্তে মানুষের মন থেকে সিরিয়াল ফেডআউট হয়ে যাবে। এটাই সত্যি। এটা মানতেই হবে। তাই স্টারডম তৈরি করতে হলে সিনেমা করতেই হবে। কারণ সিনেমার একটা আর্কাইভাল ভ্যালু রয়েছে। যা সিরিয়ালের নেই।
গোয়েন্দা গিন্নি কোনদিকে এগোবে তার কোনও ক্লু দেবেন?
(একটু ভেবে নিয়ে) পরমার স্ট্রাগলটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। শাশুড়ি বেঁকে বেঁকে কোনদিকে যে যাবেন বোঝা যাচ্ছে না। দেওর, ননদরাও কতটা সাপোর্ট করবে আমার কিন্তু বেশ সন্দেহ আছে। পরমা বিরুদ্ধে একটা গুপ্ত আগুন পরিবারের মধ্যেই বাড়বে। কারণ পরিবারের অনেককে ও কমিট করেছিল। যা পূরণ করতে পারবে না। ফলে পরমা এখন মহা সংকটে। (মুচকি হেসে) তবে সেখান থেকে কী ভাবে উদ্ধার পাবে সেটা বলব না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy