এই সেই অ্যাক্সিয়ম মডিউল যার ভিতরে থাকবে মহাকাশের ফিল্ম স্টুডিয়ো আর স্পোর্টস এরিনা। ছবি- এসইই-র সৌজন্যে।
দু’-এক দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে শুধুই কোনও চলচ্চিত্রের শ্যুটিং নয়। মহাকাশে এ বার পাকাপাকি ভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে পূর্ণদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র, ডকুমেন্টারি ও টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিংয়ের স্টুডিয়ো। গড়ে তোলা হচ্ছে খেলাধুলোর জন্য বিশাল ‘স্পোর্টস এরিনা’ও।
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে পৃথিবীর কক্ষপথে দিনে ১৫ থেকে ১৬ বার প্রদক্ষিণ করা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেই গড়ে তোলা হচ্ছে এই ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা।
মহাকাশের পটভূমিতে বানানো অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক টম ক্রুজের চলচ্চিত্রের সহ প্রযোজক সংস্থা স্পেস এন্টারটেনমেন্ট এন্টারপ্রাইজ (এসইই) বানাচ্ছে মহাকাশ স্টেশনের প্রথম ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা।
এসইই-র তরফে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে পৃথিবীতেই বানানো হবে মহাকাশের সেই ফিল্ম স্টুডিয়ো আর স্পোর্টস এরিনা। দুটিকে বসানো হবে একটি মডিউলে। যার নাম— ‘এসইই-১’। তার পর সেই মডিউলটিকে মহাকাশযানে চাপিয়ে পাঠানো হবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। এসইই-১ মডিউলটি মহাকাশ স্টেশনের বাণিজ্যিক অংশ অ্যাক্সিয়ম স্টেশনে গিয়ে নামবে। সেখানেই বসানো হবে মহাকাশের প্রথম ফিল্ম স্টুডিয়ো আর স্পোর্টস এরিনা। এসইই চায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই মহাকাশে ফিল্ম স্টুডিয়ো ও স্পোর্টস এরিনা পাঠিয়ে দিতে।
এসইই জানিয়েছে, এই ফিল্ম স্টুডিয়োতে যে কোনও দেশের অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজকই তাঁদের নিজেদের চলচ্চিত্র বা টেলিভিশন সিরিয়ালের শ্যুটিং করতে পারবেন। তবে এসইই নিজেও সেই স্টুডিয়োয় কয়েকটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিং করবে।
২০২৮ সালের পর এই অ্যাক্সিয়ম স্টেশনটি আলাদা হয়ে যাবে মহাকাশ স্টেশন থেকে। তার পর থেকে অ্যাক্সিয়ম স্টেশন স্বাধীন ভাবেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করতে শুরু করবে। অভিনেতার টম ক্রুজেরও এ বছর মহাকাশ স্টেশনে যাওয়ার কথা একটি চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy