উ: আমি আর হর্ষ যখনই কোনও নতুন শো শুরু করি, একশো শতাংশ এনার্জি দিয়ে কাজ করি। হালকা ভাবে কোনও কিছু নিই না। গত বছর ‘ডান্স দিওয়ানে’তে আমাদের সঞ্চালনা সকলের খুব ভাল লেগেছিল, সেই কারণে আবার সুযোগ পেয়েছি।
প্র: ‘হুনরবাজ: দেশ কী শান’ এর শুটিংয়ের সময়ে নিজের প্রতি যত্ন নিচ্ছেন কী ভাবে?
উ: আমার আর যত্ন নেওয়ার দরকার পড়ছে না। মা হতে চলেছি বলে সেটে সকলে আমায় এত যত্ন করছে যে, না দেখলে বিশ্বাস করবেন না। কেউ আমাকে ফল খাইয়ে দিচ্ছে, কেউ পায়ের নীচে টুল রেখে দিচ্ছে। আমার তো মনে হয়, বাড়ির চেয়ে সেটেই বেশি যত্ন পাই, আর আমি সেটা খুব এনজয় করি। আর এখন সবাই ভবিষ্যদ্বাণী করছে আমার ছেলে হবে, না মেয়ে।
প্র: আপনি ছোটবেলায় তিরন্দাজি এবং রাইফেল শুটিংয়ে খুব দক্ষ ছিলেন। কিন্তু তা নিয়ে সে ভাবে আর তেমন চর্চা করতে পারেননি বলে আফসোস হয়?
উ: এ সব শেখার জন্য বাড়ির পরিস্থিতি তখন অনুকূল ছিল না। সে সময়ে পরিবারের জন্য রোজগার করাটা খুব দরকার ছিল। তাই সে সব নিয়ে আফসোস নেই, তবে দুঃখ তো থাকেই।
প্র: এই শোয়ের তিনজন বিচারক মিঠুন চক্রবর্তী, পরিণীতি চোপড়া এবং করণ জোহর। এঁদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
উ: আমাদের শোয়ে সবচেয়ে সিনিয়র মিঠুনদাদা। কিন্তু উনি একদম বাচ্চাদের মতো। ওঁর সঙ্গে এই প্রথম কাজ করছি এবং খুব উপভোগ করছি। পরিণীতি আর আমি তো পঞ্জাবিতে কথা বলি সব সময়ে। আর করণ আমার বড় দাদা।
প্র: আপনার কেরিয়ারে লক্ষ্য কী?
উ: এপ্রিল মাসে ডেলিভারির পরে তিন মাসের একটা ব্রেক নেব, তার পর সেটে ফেরার খুব ইচ্ছে। আমার বাচ্চাও আমার সঙ্গে সেটে আসবে। পরিবারের অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে আমার উপরে নির্ভরশীল। তাই কাজে ফেরাটা খুব জরুরি। আমি আর হর্ষ দু’জনেই সন্তানকে দেখাতে চাই যে, কতটা পরিশ্রম আমরা করি।
প্র: আপনি ছোট পর্দায় অত্যন্ত সফল। বড় পর্দায় কাজ করতে ইচ্ছে হয় না?
উ: ভাল অফার পেলে নিশ্চয়ই কাজ করব। তবে আমার মতে ছোট শহরে এবং গ্রামেগঞ্জে এখনও টিভির কোনও জুড়ি নেই। টিভি আমার খুব প্রিয় মাধ্যম। টিভিই আমাকে পরিচিতি দিয়েছে।