Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩

জীবনে সব সিদ্ধান্তই আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে

বলছেন হৃতিক রোশন। সামনে আনন্দ প্লাসবলছেন হৃতিক রোশন। সামনে আনন্দ প্লাস

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী
মুম্বই শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ০০:২১
Share: Save:

কঙ্গনা রানাউত বা দিদি সুনয়নাকে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নয়। এই শর্তেই সাক্ষাৎকারে বসলেন হৃতিক রোশন। কথা বললেন নিজের আগামী ছবি ‘সুপার থার্টি’ নিয়ে।

Advertisement

প্র: আনন্দ কুমারের ভূমিকায় নিজেকে প্রস্তুত করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

উ: এক কথায় এনরিচিং! ম্রুণালের (ঠাকুর) সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও ভাল। ও ব্রিলিয়ান্ট অভিনেত্রী। আনন্দ কুমারের সম্পর্কে যখন জানলাম, আমার কাছে স্ক্রিপ্ট ছিল না। স্ক্রিপ্ট হাতে আসার পরে আমি ওঁর লেখা বইও পড়ি। অনেক বার দেখা হয়েছে ওঁর সঙ্গে এবং যত বার দেখা হয়েছে শেখার মাত্রাও বেড়েছে। ওঁর সঙ্গে দেখা করার সময়গুলো মুহূর্তের মধ্যে শেষ হয়ে যেত। পুরো প্রসেসটা খুব উপভোগ করেছি।

প্র: আপনাকে গ্রিক গড বলা হয়। এই ছবিতে আবার ডি-গ্ল্যাম আপনি। নিজেকে ক্যামেরায় দেখে কী মনে হল?

Advertisement

উ: অভিনেতা হিসেবে প্রত্যেকেরই একটা প্রসেস থাকে। চরিত্রের কাছাকাছি যাওয়ার জন্য মেকআপ, কস্টিউম, ডায়লগ বলা এগুলো এক একটা ধাপ। তবে আমার কাছে জরুরি হচ্ছে ইমোশনাল কানেকশন। অভিনেতা হিসেবে চরিত্রের কাছে পৌঁছতে পারলে আমি সবচেয়ে খুশি হই।

প্র: বিহারি ভাষাটা ভাল রপ্ত করেছেন?

উ: বিহারের বিভিন্ন জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় মানুষ কথা বলেন। আমি একটা নির্দিষ্ট ডায়লেক্ট বলেছি। দু’মাস লেগেছিল সেটা শিখতে। একটা মিষ্টি ব্যাপার আছে ভাষাটার মধ্যে। হয়তো আগের জন্মে আমি বিহারি ছিলাম (হাসি)!

প্র: শিক্ষাব্যবস্থায় সংরক্ষণকে আপনি কী ভাবে দেখেন?

উ: হঠাৎ করে এই বিষয়ে জবাব দেওয়া সম্ভব নয় আমার পক্ষে। এর জন্য সময় লাগবে। তবে যে কোনও সমাজে ব্যালান্স রাখাটা খুব জরুরি। সংরক্ষণ যদি তা করতে পারে, তা হলে তো খুবই ভাল। কিন্তু সেটা না করতে পারলে খতিয়ে দেখা উচিত।

প্র: আপনি কেমন ছাত্র ছিলেন?

উ: খুব ভাল ছাত্র ছিলাম। কহেনে মে কেয়া যাতা হ্যায় (হাসতে হাসতে)! ক্লাস টেনের বোর্ডের পরীক্ষায় আমি ভাল ফল করেছিলাম। পেয়েছিলাম ৬৮.৫ শতাংশ। কিন্তু সবাইকে বলতাম ৭০ শতাংশ।

প্র: বাবা হিসেবে আপনার দুই ছেলেকে কী শিক্ষা দেন?

উ: কয়েকটা বেসিক জিনিস বলি ওদের। আত্মনির্ভরশীল হওয়া। একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে তাতে দৃঢ় থাকা। কোনও পরিস্থিতিতেই সিদ্ধান্ত বদল না করা। ভাল চরিত্র গঠন খুব জরুরি। আর সেন্স অব হিউমার ভাল হতে হবে। দুঃসময় এলেও মুখের হাসিটা যেন বজায় থাকে।

প্র: আপনার সেরা শিক্ষক কে?

উ: জীবনের সব ভাল-মন্দ সিদ্ধান্তই আমাকে কিছু না কিছু শিখিয়েছে।

প্র: ‘কৃষ ফোর’-এর এখন কী অবস্থা? কাজ এগিয়েছে?

উ: এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি বাবার (রাকেশ রোশন) স্বাস্থ্য। আগে উনি ঠিক হন। তার পরে এই নিয়ে ভাবনাচিন্তা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.