দাউদ ইব্রাহিমের অনুষ্ঠানে গিয়ে নেচে এসেছেন, অকপটে স্বীকার করেছিলেন গোবিন্দ। তবে শুধু গোবিন্দ নন, একসময় বলিউডের বেশ কিছু ছবিকে আর্থিক ভাবে নির্ভর করতে হত গ্যাংস্টারদের উপর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই জানিয়েছেন আইপিএস আধিকারিক ডি শ্রীবন্ধন।
‘সত্য’, ‘কোম্পানি’, ‘ড্যাডি’, ‘শুটআউট অ্যাট লোখন্ডওয়ালা’—এই ছবিগুলি গ্যাংস্টারদের নিয়েই। শ্রীবন্ধনের দাবি, এই ছবিগুলিতে বাস্তবেই আর্থিক বিনিয়োগ করতেন গ্যাংস্টারেরা। এমনকি ১৯৭০ এর ‘দিওয়ার’, ‘মুকদ্দর কা সিকন্দর’-এর মতো ছবিতেও গ্যাংস্টারদের তরফ থেকে আর্থিক সহায়তা আসত। ২০০২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘কোম্পানি’। সেই ছবিতে পুলিশ আধিকারিকের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মোহনলাল। চরিত্রের নাম ছিল শ্রীনিবাসন। সেই চরিত্রটি নাকি শ্রীবন্ধনের উপরেই তৈরি করা হয়েছিল, জানান আইপিএস আধিকারিক নিজেই।
আরও পড়ুন:
বলিউডের ছবিতে বিনিয়োগ করে তারকাদের নিজেদের হাতের মুঠোয় রাখতেন দাউদ ইব্রাহিমের মতো গ্যাংস্টারেরা। শ্রীবন্ধন বলেছেন, “দাউদ ইব্রাহিম সব অভিনেতাকে দুবাইয়ে ডেকে পাঠাতেন। ডেকে পুরস্কৃত করতেন। তার পরে আবার তাঁরা ফিরে আসতেন। প্রথম সারির বহু অভিনেতা দুবাই গিয়েছিলেন। প্রায় ৮৩ জন সঙ্গীতশিল্পী গিয়েছিলেন। দাউদ ইব্রাহিমের কন্যার একটি বিশেষ অনুষ্ঠান ছিল। বিশেষ বিমানে করে এই অভিনেতারা যাতায়াত করতেন।”
দাউদের থেকে কোনও প্রস্তাব এলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার জায়গায় থাকতেন না অভিনেতারা। অগত্যা আমন্ত্রণে ডাক পেয়ে তাঁদের যেতেই হত। শ্রীবন্ধন বলেছেন, “গোবিন্দ নিজেই স্বীকার করেছিলেন, ‘আমরা আর কী করব? আমরা গিয়ে নেচে এসেছি।’” বলিউডের প্রযোজকেরা সব সময় আতঙ্কে থাকতেন। প্রত্যাখ্যান করলেই তাঁদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে ধুয়ে-মুছে দেওয়ার হুমকি আসত। শ্রীবন্ধন মনে করিয়ে দেন, “টি সিরিজ়ের প্রতিষ্ঠাতাকে মনে আছে? শোনা যায়, ওঁকে কিন্তু এই অন্ধকার জগতের মানুষেরাই হত্যা করেছিল।”