সোমবার রাত থেকে টলিউডে গুঞ্জন, এ বছরেও পুজোর ছবির প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শনের সময় নিয়ে নাকি টানাপড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। টলিপাড়ার একাংশের অভিযোগ, প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শন-সময় দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে ‘রঘু ডাকাত’ !
মঙ্গলবার সেই বিতর্কে ইন্ধন জুগিয়েছেন রাজনীতিবিদ-অভিনেতা কুণাল ঘোষ। তিনি এক বার্তায় লিখেছেন, “যা খবর, ‘প্রভাবশালী’ একটি ছবি শুরু থেকেই একাধিক প্রেক্ষাগৃহে বাড়তি প্রদর্শন-সময় পাচ্ছে। ‘রক্তবীজ ২’-এর মতো প্রথম পর্ব সুপারহিট হওয়া ছবিকেও কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গোড়া থেকে। এটা কাম্য নয়। শুরুতে সবাই সমান সুযোগ পাক। তার পর দর্শকের বিচার। সেটা না হলে এত বৈঠকের মানে কী?”
কুণালের কাছে কি পাকা খবর রয়েছে প্রেক্ষাগৃহ ও প্রদর্শন-সময়ের দখলদারিতে ‘রঘু ডাকাত’-এর দুই প্রযোজক দেব এবং ‘এসভিএফ’ এগিয়ে? প্রশ্ন ছিল আনন্দবাজার ডট কম-এর। জবাবে রাজনীতিবিদ-অভিনেতা জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহ এবং প্রদর্শন-সময় দখল নিয়ে ‘রঘু ডাকাত’-এর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটি ‘গুঞ্জন’ হলেই মঙ্গল। কুণালের যুক্তি, “চারটি ছবি, ‘রক্তবীজ ২’, ‘দেবী চৌধুরাণী’, ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ এবং ‘রঘু ডাকাত’— সমান সুযোগ পাক। তার পর দর্শকের বিচারে দৌড় চলুক। একটা ছবি নেপথ্য প্রভাবে শুরুর দিন থেকে বাড়তি প্রদর্শন-সময় এবং প্রেক্ষাগৃহ পেলে তার প্রতিবাদ হবে।”
তার পরেই বিস্ফোরক মন্তব্য তাঁর। কুণালের কটাক্ষ, “‘রঘু ডাকাত’-এর প্রযোজকদের উচিত ক্রেডিট কার্ডের শেষে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসেকে কৃতজ্ঞতা জানানো। জেলাস্তরে ছবি প্রচারের সময় স্থানীয় নেতারা সাংসদ-অভিনেতাকে প্রচণ্ড সহযোগিতা করছেন।”
নিজের ছবিকে এগিয়ে রাখার অভিযোগে প্রভাবশালী দুই প্রযোজকের নাম না করেই তাঁদের উদ্দেশে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল। তাঁর জিজ্ঞাসা, “এই বিতর্ক যাতে না তৈরি হয়, তার জন্যই সকলে মিলে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার পরেও প্রভাব খাটানোর মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হবে? সব ছবি সমান সুযোগ পাক। বাকিটা দর্শকের উপরে ছেড়ে দেওয়া হোক।”