শাশুড়ি-বৌমার কোন্দল হোক আদ্যোপান্ত প্রেমের কাহিনি— ছোট পর্দায় এমন গল্প নতুন নয়। তবে আর একঘেয়ে গল্প নয়। একটু অন্য ধাঁচের কাহিনি বুনছেন চিত্রনাট্যকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তার প্রমাণ ‘চিরসখা’ ধারাবাহিকের গল্প। যেখানে না আছে চেনা প্রেম, না আছে শাশুড়ি-বৌমার লড়াই। প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধুত্বের কাহিনিই রোপণ করেছেন লেখিকা। নতুন ঠাকুরপো আর বৌঠানের কাহিনি দর্শক মনেও প্রভাব ফেলেছে। টিআরপি তালিকায় প্রথম পাঁচে এই ধারাবাহিকের নাম দেখা না গেলেও স্বতন্ত্র আর কমলিনীর সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই আগ্রহ তৈরি হয়েছে ধারাবাহিক-প্রেমীদের মনে। আগামী দিনে ঠাকুরপো, বৌঠানের সম্পর্ক কি অন্য দিকে মোড় নেবে? সমাজমাধ্যমের পাতা ভরে গিয়েছে এই এক প্রশ্নেই।
আরও পড়ুন:
আনন্দবাজার ডট কমের তরফে এই প্রশ্ন করা হয়েছিল লেখিকা লীনাকে। তিনি বললেন, “চিত্রনাট্যকার হয়েও সবটা আমার হাতে থাকে না। প্রতিটা চরিত্রের একটা নিজস্ব গতি থাকে। সেই অনুযায়ী অনেক সময় কাহিনি বদলাতে হয়।” তবে এই মুহূর্তে যে কমলিনী, স্বতন্ত্রর মধ্যে কোনও বৈবাহিক বন্ধন দেখা যাবে না তা নিশ্চিত করেছেন লেখিকা। লীনা বলেন, “গল্প অনুযায়ী অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়। স্বতন্ত্র এবং কমলিনীর বন্ধুত্বের কাহিনি তুলে ধরাই মূল লক্ষ্য। তেমন ভাবেই এগোচ্ছে কাহিনি।”
এই ধারাবাহিকে এক দিকে যেমন বন্ধুত্বের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই আবার সন্তানদের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কের এক অন্য দিকও তুলে ধরা হয়েছে, যা দাগ কেটেছে দর্শকের মনে। আগামী দিনে বড় ছেলে বুবলাই কি নিজের ব্যবহারে অনুতপ্ত হবে? বৌমা বর্ষা কি শাশুড়িমা কমলিনীর অনুভূতি উপলব্ধি করবে? গল্পের নতুন মোড়ের অপেক্ষায় দর্শক।