দীপিকা-কঙ্গনা।
‘ছপক’ মুক্তি পাওয়ার পর দীপিকা পাড়ুকোনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত। কিন্তু দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ গিয়ে ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষের সঙ্গে দীপিকার দেখা করা এবং পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে একেবারেই উল্টো সুর ‘কুইন’-এর মুখে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা বলেছেন, “জেএনইউ-তে দীপিকার যাওয়া একেবারেই ওর গণতান্ত্রিক অধিকার। ও খুব ভাল করেই জানে, কী করছে, কেন করছে... সে বিষয়ে আমার কোনও মতামত থাকা উচিত নয়। আমি ওকে বলতেও পারিনা যে ওর কী করা উচিতআর কী করা উচিৎ নয়।” কিন্তু তিনি হলে কী করতেন? এই প্রশ্নে কঙ্গনার জবাব ছিল, “আমি অবশই যেতাম না। দাঁড়াতাম নাটুকড়ে টুকড়ে গ্যাংয়ের পাশে। যারা দেশ ভাগ করতে চায়, তাদের প্রতি আমার কোনও সহানুভূতি নেই। সেনাকর্মীরা মারা গেলে যারা উৎসব করে, তাদের কখনওই আমি ক্ষমতায় আনতে চাই না।”
বলি-পাড়ার একটা অংশের মতে, কঙ্গনা আসলে বিজেপির সুরে কথা বলছেন। তাঁদের মতে, গেরুয়া শিবিরই এত দিন দাবি করে এসেছে সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি হামলায় কোনও সেনাকর্মী মারা গেলেতা ‘উদ্যাপন’ করে জেএনইউ-সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাম-অতিবাম ছাত্র সংগঠন। এ বার সেই সুরই ধরা পড়েছে কঙ্গনার গলায়।
আরও পড়ুন-প্রকাশ্যে এল দীপিকার মালতী হয় ওঠার প্রস্থেটিক মেকআপের সম্পূর্ণ ভিডিয়ো
গত ১০ জানুয়ারি জেএনইউ-তে গিয়েছিলেন দীপিকা। তার কয়েক দিনের মধ্যেই মুক্তি পেয়েছিল দীপিকা অভিনীত, মেঘনা গুলজার পরিচালিত ছবি ‘ছপক’। দীপিকার জেএনইউ যাওয়াকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ট্রেন্ড উঠেছিল ‘আই সাপোর্ট দীপিকা’। পাল্টা ট্রেন্ড হয়েছিল ‘বয়কট ছপক’। এই দুই ট্রেন্ডের টানাপড়েনে বক্স অফিসে লক্ষ্মীলাভ হয়নি ‘ছপক’-এর। সমালোচকেরা মনে করেন, ছবি মুক্তির তিন দিন আগে দীপিকার জেএনইউতে যাওয়া‘ব্যাকফায়ার’ হয়ে লেগেছিল তাঁর গায়ে।
যদিও সে কথা মানতে নারাজ কঙ্গনা। তাঁর মতে, “টুইটারে ভারতের জনসংখ্যার খুব অল্পই মানুষ রয়েছেন। তাই দীপিকার জেএনইউ যাওয়া নিয়ে টুইটার-ট্রেন্ডের সঙ্গে ছবি ফ্লপ হওয়ার কোনও যোগাযোগ নেই।”
আরও পড়ুন-বিয়ের পরের দিনই অসুস্থ দীপঙ্কর দে, ভর্তি আইসিইউতে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy