রাজনীতিতে এসেই ‘জয়’ পেয়েছিলেন। কিন্তু রাজনীতি এখন সেই ভাবে উপভোগ করছেন না কঙ্গনা রনৌত। এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। ফের একবার সেই একই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী সম্প্রতি পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। তাঁকে সমর্থন করছেন কঙ্গনা।
যে সব রাজনীতিবিদ্ মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করছেন, তাঁদের অন্য পেশায় সমান ভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত বলে মনে করেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, “রাজনীতি এমন একটা পেশা যার পথ খুব অমসৃণ। এখানে তেমন পারিশ্রমিকও নেই। বহু রকমের খরচ রয়েছে। আর শিল্পীরা এর মধ্যে নিজেদের কাজেও যদি সময়টা ব্যয় করেন, তাঁদের নিয়ে আবার মশকরা করা হয়।”
অন্য পেশায় থাকতে থাকতে যাঁরা রাজনীতিতে আসেন, তাঁদের পরিস্থিতি মানুষের বোঝা উচিত, জানান কঙ্গনা। তাঁর কথায়, “রাজনীতিতে ভাল করে কাজ করার পাশাপাশি নিজেদের পেশাতেও কাজ করতে দেওয়া উচিত।”
আরও পড়ুন:
সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ গোপী নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে বলেন, “আমি কখনওই আমার চলচ্চিত্রদুনিয়া ছেড়ে মন্ত্রী হতে চাইনি।”
কঙ্গনা বর্তমানে হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের সাংসদ। তবে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবির পর তিনি আর কোনও কাজ করেননি। শোনা যাচ্ছে, এ বার নাকি তিনি হলিউডে পাড়ি দিচ্ছেন। কয়েক মাস আগে রাজনীতি নিয়ে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, সৎপথে রাজনীতি করে যা উপার্জন হয়, তা দিয়ে জীবনযাপন করা কঠিন। তাই দরকার একটি চাকরি। অভিনয় থেকে রাজনীতির জগতে এসেছেন কঙ্গনা। তিনি বলেন, “আমি একটা বিষয় বুঝেছি। একজন সাংসদকে যে বেতন দেওয়া হয়, তাতে রাঁধুনি বা গাড়ির চালককে বেতন দেওয়ার পরে থাকে মাত্র ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা।”