ক্যাফে খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিপত্তি। খবর, ৯ জুলাই রাত ১টায় লাগাতার গুলিবর্ষণ কপিল শর্মার মাত্র এক সপ্তাহ আগে খোলা ‘ক্যাপস ক্যাফে’তে। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। কিন্তু যে কোনও ব্যক্তির কাছে তাঁর নতুন খোলা ক্যাফের এই পরিণতি শঙ্কিত হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ইতিমধ্যেই কপিলের অনুরাগীদের মধ্যে গুঞ্জন, কানাডায় কি ক্রমশ সন্ত্রাস বাড়ছে? খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হরজিৎ সিংহ লাড্ডি ঘটনার দায় স্বীকার করে নিতেই সম্ভবত এই গুঞ্জনের সূত্রপাত।
যাঁর ক্যাফেতে এত বড় ঘটনা ঘটল সেই কপিল কী বলছেন? খবর, তিনি এখনও বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগত মতামত দেননি। তবে তাঁর ক্যাফের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি হয়েছে। সেখানে সহিংসতার নিন্দার পাশাপাশি হাল ছেড়ে না-দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও লেখা হয়েছে, “আমরা ধোঁয়া ওঠা নানা স্বাদের কফি আর আড্ডার মাধ্যমে আপনাদের মনে আনন্দ ছড়িয়ে দেব, এই স্বপ্ন নিয়ে ক্যাফে খুলেছি। সেই স্বপ্নের সঙ্গে সহিংসতা মিশে যাওয়া সত্যিই কাম্য নয়। আমরা এই ধাক্কা দ্রুত সামলে ওঠার চেষ্টা করছি এবং হাল ছাড়ছি না।” পাশাপাশি, রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষ সমর্থকদের উদ্দেশে আন্তরিক ধন্যবাদও জানিয়েছেন। বিপদের দিনে কর্তৃপক্ষ এবং ক্যাফেকর্মীদের পাশে থাকা— সকলের মনোবল আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। শীঘ্রই ক্যাফেটি আবার খোলা হবে, এ কথাও জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এতে ক্যাফের সুনাম নষ্টের পাশাপাশি সম্পত্তিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে কথা জানাতে ভোলেননি কর্তৃপক্ষ।
বিদেশে কপিলের ক্যাফেতে ঘটে যাওয়া এত বড় কাণ্ডের নেপথ্য কারণ নতুন করে শঙ্কিত করেছে বলিউডকে। কৌতুকশিল্পীর কিছু কথা মনপসন্দ নয়, এই কারণে ক্যাফেতে হামলা করা হয়েছে। ঘটনার দায় স্বীকার করে জানিয়েছেন হরজিৎ সিংহ লাড্ডি। তিনি কপিলকে তাঁর আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনা মনে করিয়ে দিয়েছে ২০২৪-এর সেপ্টেম্বরে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারে গায়ক-র্যাপার এপি ধীলোঁর বাড়িতে গুলি চালানোর মতো ঘটনা। এই ঘটনায় অভিজিৎ কিংরা নামে ২৫ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। একই ভাবে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে, ভ্যাঙ্কুভারে পঞ্জাবি গায়ক এবং অভিনেতা গিপ্পি গ্রেওয়ালের বাড়ির বাইরেও গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। সেই সময় ‘সিধু মুসেওয়ালা হত্যা’য় অভিযুক্ত লরেন্স বিশ্নোই এই হামলার দায় স্বীকার করেছিলেন।