আমির খান ও কিরণ রাও। ছবি-সংগৃহীত।
বিচ্ছেদের রাস্তা বেছে নিলেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছেন পরিচালক কিরণ রাও ও অভিনেতা আমির খান। সমাজমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির খানের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বললেন কিরণ।
বিয়ের আগেই আমিরের সঙ্গে এক ছাদের তলায় এক বছর কাটিয়েছিলেন বলে জানান কিরণ। বিয়েকে সব সময়ে একটা ‘প্রতিষ্ঠান’ বলেই মনে করতেন তিনি। কিরণ বলেছেন, ‘‘বিয়ের আগে আমি আর আমির এক বছর একসঙ্গে থেকেছি। আমরা জানতাম বিয়ে একটা দারুণ ‘প্রতিষ্ঠান’ যদি দুটো মানুষ স্বতন্ত্র ভাবে থাকতে পারে, আবার যুগল হিসাবেও পরস্পরের সঙ্গে থাকতে পারে।’’
বিবাহবিচ্ছেদ হলেও বন্ধুত্বে কোনও ঘাটতি হয়নি আমির ও কিরণের। কিরণের কথায়, ‘‘বিষয়টা হল আমরা দুই স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসাবে পরস্পরের সঙ্গে মিশি এবং বন্ধুত্ব রাখি।’’ পরস্পরের প্রতি তাঁরা যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল বলেও জানান কিরণ।
কিরণ জানাচ্ছেন, বরাবরই তিনি স্বাধীনচেতা প্রকৃতির। কিন্তু একটা সময় পরে তিনি শুধুই আমির খানের স্ত্রী হিসাবে পরিচয় পেতে শুরু করেন। তিনি বলছেন, ‘‘আমি একজন শক্ত মনের স্বাধীন মহিলা থেকে হঠাৎ শুধুই এক জনের স্ত্রী হয়ে গেলাম! এখনও বিমানবন্দরে মানুষ আমায় আমির খানের স্ত্রী হিসাবেই দেখে।’’
তারকা হিসাবে আমির অনেকটাই এগিয়েই এবং সেই জন্যই তাঁকে আমিরের স্ত্রী হিসেবে মানুষ চেনে, এই বিষয়টি অস্বীকার করেন না কিরণ। কিন্তু দু’জনই ব্যক্তি হিসেবে শক্তপোক্ত ও ভিন্ন মতামত পোষণ করেন বিভিন্ন বিষয়ে। তবে সেই সব কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়নি। কিরণ জানিয়েছেন, তিনি চাইছিলেন নিজের মতো করে স্বাধীন ভাবে জীবন যাপন করতে, নিজের কাজে পরিচয় অর্জন করতে। তিনি বলছেন, ‘‘আমি জানতাম আমার নিজস্ব জায়গা দরকার। আমি স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চেয়েছিলাম আর নিজের জায়গা নিজে অর্জন করতে চাইছিলাম। সেটা আমার নিজের উন্নতির জন্যই চেয়েছি। ’’
সম্প্রতি কিরণ পরিচালিত ‘লাপতা লেডিজ়’ দর্শক ও সমালোচক মহলে বহুল প্রশংসিত। অন্য দিকে আমির ব্যস্ত তাঁর ছবি ‘সিতারে জ়মিন পর’ নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy