হাতে কলমে বদলের ক্ষমতা থাকলে শহরটার নাম পাল্টে দিয়ে রোলকাতা রাখতাম। যে শহরের অলি-গলি-পাকস্থলী জুড়ে কুটির শিল্পের মতো রোলের দোকান তাকে খামোকা কোলে করে তুলে রাখার মানেই দেখি না আমি। মুঘলেরা পরোটা বানাতে শিখিয়েছে, বাঙালি সেই পরোটার পাততাড়়ি গুটিয়ে গুটিয়ে বানিয়ে ফেলেছে রোল। হ্যাঁ, সেই রোল কি না রীতিমতো কলকাতা রক করছে বহুদিন হল।
গোলকায়নের বোকাবাস্কে যতই জিঙ্গল বাজুক, ম্যাকের বাবা খ্যাক হয়ে কলকাতার রোলকল চলছে, চলবে! ‘সাবওয়ে’ হোক বা ফ্লাইওভার কলকাতার জিভের থেকে ডাবল আন্ডা, ডাবল চিকেনের স্বাদ ভবি ভোলবার নন। সপ্তাহের যে কোনও দিন পাইকপাড়়া থেকে পাটুলি রাউন্ড মারুন, দেখবেন গ্লোবালকে গোহারা হারাচ্ছে এই লোকাল প্লেয়ারেরা। আসলে, স্বাদের বিশ্বে একনায়কতন্ত্র চলে না, জনগণতন্ত্রের সেখানে একটাই প্রতীক, সেই জিভ চিহ্নে ছাপ রাখতে না পারলে, ব্যান্ড বাজা বারাত হতে বাধ্য। আর, এখন তো দেখি ঠ্যালায় পড়ে পাঁচতারা হোটেলও নাম পাল্টে সেই পাঁচুদার রোল-ই তাদের স্ন্যাক্স মেনুতে রাখছে। অতএব, স্বাদের প্রবেশ অবাধ।