ফাইল চিত্র।
অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পরে অনিচ্ছাকৃত ভাবেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তখন একের পর এক অভিযোগের বোঝা তাঁর ঘাড়ে। কখনও শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি অর্থের অভাবে সবার কাছে হাত পাতছেন। কখনও তিনি তর্কে জড়িয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে। সেই কারণে বেশ কিছু দিন সংবাদমাধ্যমের থেকেও দূরেও ছিলেন স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইকে।
সম্প্রতি মেয়েকে নিয়ে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন অভিষেক-ঘরনি। সেখানেও প্রয়াত অভিনেতার ছবি সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ায় ফের কটাক্ষের শিকার তিনি। সংযুক্তার অভিযোগ, বেড়ানোর ছবি দেখে কিছু নেটব্যবহারকারী তাঁর উদ্দেশ্যে ফেসবুকে লিখেছেন, এ ভাবে সব জায়গায় অভিষেকের ছবি সঙ্গে নিয়ে ঘোরা হাস্যকর। সংযুক্তা নাকি সহানুভূতি কুড়োতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছেন!
কোন বিশেষ অনুভূতি থেকে এই কাজ করছেন সংযুক্তা? বুধবার সকালে সবিস্তার তার জবাব দিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতা-পত্নী। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, ‘আমার কেন সহানুভূতির প্রয়োজন হবে? আমি একজন স্বাধীন রোজগেরে নারী এবং অভিষেকের আশীর্বাদে ২৪ মার্চ ২০২২ থেকে এই সংসার নিজেই চালাচ্ছি।’ তাঁর দাবি, আজও তিনি অভিষেকের শক্তিতেই পথ চলছেন। অনেকেই নিজের প্রিয়জনকে হারানোর পরে তাঁকে ফ্রেমবন্দি করেন। সংযুক্তা করতে পারেননি। কারণ, ফ্রেমবন্দি করার পরে অভিষেক নাকি তাঁকে স্বপ্নে অনুরোধ জানিয়েছিলেন, এমন যেন না করা হয়। তাই তিনি প্রয়াত স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এ ভাবেই নিজে প্রতিটি দিন কাটান।
নিজের জবাবের স্বপক্ষে একটি ঘটনা জানিয়েছেন তাঁর দাবি, তাঁদের একমাত্র মেয়ে ডলের জন্মদিনে তিনি নাকি অভিষেকের ছবিটি বাড়িতে রেখে এসেছিলেন। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছেও তাঁকে ফের বাড়িতে ফিরতে হয়েছিল। তিনি মেয়ের জন্মদিনের উপহার নিতে ভুলে গিয়েছিলেন। তিনি যখন বাড়িমুখো, তখনই গাড়ির মধ্যে শুনতে পেয়েছিলেন অভিষেকের গলা। প্রয়াত অভিনেতা নাকি তাঁর কানে ফিসফিসিয়ে বলছেন, 'ডলের জন্মদিন। আর আমাকেই রেখে গেলে?’ অভিনেতা-পত্নীর সে সময়ে মনে হয়েছিল, তাঁর আবার বাড়ি ফিরে আসা পূর্বনির্দিষ্ট। তাঁর কথায়, আগে তাঁরা সাঁই বাবার ছবি সঙ্গে নিয়ে বেরোতেন। এখন অভিষেককে সঙ্গে নেন।
নেট ব্যবহারকারীদের পাল্টা কটাক্ষ করেছেন সংযুক্তাও।বলেছেন, ‘সহানুভূতি’ এবং ‘প্রেম’-এ পার্থক্য আছে। দুর্ভাগ্যবশত, অধিকাংশ মানুষ এটা বোঝেন না। অভিষেক-ঘরনি লিখেছেন, 'আমি সহানুভূতিতে বাঁচি না। কারও সহানুভূতি, করুণা নিয়ে বাঁচতে নেই। মানুষ যদি এই আবেগকে ‘হাস্যকর’ মনে করেন, তা হলে আমি তা তাঁদের রসবোধের উপর ছেড়ে দিলাম।’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy