ঋতাভরী, সৌরভ-ত্বরিতা, অপরাজিতার বাড়ির লক্ষ্মী পুজো।
চট্টোপাধ্যায় পরিবারের সকল সদস্যের মন ভারাক্রান্ত। উত্তমকুমারের আমল থেকে এ দিন বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়ানোর নিমন্ত্রণ থাকত কয়েকশো লোকের। কিন্তু লক্ষ্মী দেবীর আরাধনায় সেই চেনা পরিবেশটাই এ বার খুঁজে পাচ্ছেন না তরুণকুমারের নাতি সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগদত্তা ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় আর ভাই-বোন গৌরব ও নবমিতা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সৌরভ।
প্রতি বার লক্ষ্মী পুজোয় ধূপ-ধুনো, খিচুড়ি আর নাড়ুর গন্ধে ম-ম করত অপরাজিতা আঢ্যর বাড়ি। কিন্তু এবার অপরাজিতা-সহ পরিবারের চারজন সদস্য কোভিডে আক্রান্ত হওয়ায় পুজোর আনন্দ থেকে দূরেই তাঁরা। ফোনের ও প্রান্তে একরাশ মনখারাপ অপরাজিতার কণ্ঠে, ‘‘প্রতিবার নিজের হাতে ভোগ রান্না করি, ভিয়েন বসিয়ে মিষ্টি বানাই। এ বার দেবীকে সাজিয়ে নানা ধরনের মিষ্টি আর ফল উৎসর্গ করে পাঁচালি পড়েই কাটালাম। একটা নাড়ু তৈরি করার মতোও মনের অবস্থা নেই।’’
দিদা মারা যাওয়ার পর থেকে বাড়িতে পুজো বন্ধ ছিল ঋতাভরী চক্রবর্তীর। গত বছর থেকে নায়িকা ফের তা শুরু করেছেন। এ বছর দিদি, মা ও কাছের লোকদের নিয়ে লক্ষ্মীপুজো করলেন ঋতাভরী। পুজোর জোগাড়ও করেছেন নিজেই।
রুপোর কুনকের মধ্যে নতুন ধান ভরে, লাল চেলিতে গাছকৌটো মুড়ে দেবীর রূপ কল্পনা করেই পুজো হয় সাহেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। বললেন, ‘‘প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি পুরনো আমাদের পুজো। ঠাকুরের গয়না বংশ-পরম্পরায় হাতবদল হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি আর পাড়ার বন্ধুদের নিয়ে জমজমাট কাটত পুজোটা। কিন্তু এ বছর সেই সুযোগও হল না।’’
ছোট করেই বাড়িতে পুজো সারলেন পল্লবী চট্টোপাধ্যায়ও। এ নিজেই মা লক্ষ্মীকে সাজিয়েছেন, আলপনা দিয়েছেন পল্লবী। তাঁর কথায়, ‘‘লুচি, পনির, খিচুড়ি, পাঁচ রকম ভাজা পুজোর ভোগে রেখেছি। মা লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা, সব রকম অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা দিও আমাদের।’’ তবে এ বার লক্ষ্মী পুজোর আনন্দ দ্বিগুণ রুদ্রজিৎ মুখোপাধ্যায় ও প্রমিতা চক্রবর্তীর। শুটিং থেকে ফিরে প্রথম বার লক্ষ্মীপুজো করলেন ছোট পর্দার এই হবুদম্পতি। প্রমিতার কথায়, ‘‘রুদ্রজিৎ ‘জীবন সাথী’র শুটিংয়ে যাওয়ার আগে পুজোর কাজে অনেকটাই সাহায্য করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy