Advertisement
E-Paper

‘ক্রাশ জোনে আছি... তার জন্যই আমি পুরো সিঙ্গল’

‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের অন্যতম খলনায়িকা। রিঙ্কি অর্থাৎ লিজা সরকার। এক পড়ন্ত বিকেলে রোদের রং যখন লালচে তাঁর মুখোমুখি হওয়া গেল। পর্দা ও পর্দার বাইরের যাবতীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন। আলাপে মৌসুমী বিলকিস।‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের অন্যতম খলনায়িকা। রিঙ্কি অর্থাৎ লিজা সরকার। এক পড়ন্ত বিকেলে রোদের রং যখন লালচে তাঁর মুখোমুখি হওয়া গেল। পর্দা ও পর্দার বাইরের যাবতীয় অভিজ্ঞতা নিয়ে নিজেকে মেলে ধরলেন।

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৯ ০০:১২

এই বয়সেই একটা ত্রিকোণ প্রেমে জড়িয়ে পড়েছেন। আবার বিয়েও করে ফেলছেন।

রিঙ্কি এখনও সার্থককেই (ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়) ভালবাসে... তো সার্থকের বিয়ে হয়ে গেছে... ওর ওপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য তান্নাকে (সায়ন কর্মকার) ইনফ্লুয়েন্স করে ওকে বিয়ে করে ফেলে রিঙ্কি।

দুই পুরুষ...

তান্না মানে সায়নের সঙ্গে আমার রিলেশন পুরো ভাই ভাই টাইপ... মানে ও আমার প্রথম থেকেই খুব ভালো ফ্রেন্ড। এ দিকে সার্থক মানে ইন্দ্রদাও খুব ভালো বন্ধু, কিন্তু আমি ওকে দাদা বলি... ইন্দ্রদার সঙ্গে আমার বন্ডিং বেশি স্ট্রং। সত্যি যদি বলি (একটু সময় নিলেন)... প্রথম দিন তান্নার সঙ্গে সিন করতে গিয়ে আমার একটুও ভালো লাগছিল না। এতদিন ‘সার্থক, সার্থক’ করে এখন ‘তান্না’ ‘তান্না’... তো সেটা... হি হি হি... এখন সব ঠিক হয়ে গেছে, তান্নার সঙ্গে সিন করতে সমস্যা হয় না।

গল্পের নতুন পুরুষকে মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না?

না... আমার একটু প্রবলেমই হচ্ছিল প্রথমে... রিঙ্কি তো খুব... সার্থককে নিয়ে খুব পজেজিভ... হঠাৎ করে তান্নাকে নিয়ে... মানে কিছুতেই তান্নাকে ভালবাসতে পারে না... শুধু সার্থককেই ভালোবাসে। রিয়েল লাইফে এক বছর টানা সার্থক মানে ইন্দ্রদার সঙ্গে সিন করেছি... ইন্দ্রদার সঙ্গে আমার বন্ডিং (সলজ্জ হাসি)... ইন্দ্রদা ইজ মোর ইম্পর্ট্যান্ট।

রিয়েল লাইফে কারও প্রতি পজেজিভ?

হা হা হা হা... আমি একেবারেই সিঙ্গল... মানে... আমার বেশিরভাগ বন্ধুই ছেলে... আমি একেবারেই টম বয়িস... তবে আমার ক্রাশ আছে (হাসি ও উত্তেজনায় ছটফট করছেন)... বেশির ভাগই সব র‍্যাপার... ক্রাশ এক/দু’দিন স্টে করে... আবার আমি ব্যাক টু সিঙ্গল লাইফ... এখন পর্যন্ত কেউ নেই... আমি সিঙ্গল।


আমি একেবারেই সিঙ্গল...।

রিসেন্ট ক্রাশ?

রিসেন্ট... হা হা হা... আমার মানে ক্রাশ আছে... বলিউডের... হো হো... ফিক্স কিছু নয়... হলে জানাব (মৃদু হাসিতে ঠোঁট ভরে যায়)।

প্রপোজ করে কেউ?

না, না... আমার বিষয়ে ফলোয়াররা হ্যাশট্যাগ দেয়, ‘বংক্রাশ’, ‘লিজাসরকার’, ‘বেঙ্গলিটেলিভিশনক্রাশ’... ক্রাশের পরে ভাবে যে কিছু হবে না, বলে লাভ নেই... তাই আমি ক্রাশ জোনে আছি... তার জন্যই আমি পুরো সিঙ্গল... হা হা...

সিঙ্গল বলে দুঃখিত?

দুঃখ হয় না... সবাইকে বলি বয়ফ্রেণ্ড খুঁজে দাও... হয়ে যাবে মে বি... এরকমই ঠিক আছি বেসিক্যালি... (কণ্ঠ কেমন দুঃখ দুঃখ)।

আরও পড়ুন, ‘ভাল দেখতে লাগছে আগেও শুনেছি, কিন্তু ভাল অভিনয় ‘নকশি কাঁথা’য় শুনলাম’

আপনার ফ্যান...

হ্যাঁ... অনেক... অন্য অভিনেতাদের থেকে এবিষয়ে আমি নিজেকে আলাদা মনে করি... আলাদা ইন দ্য সেন্স... ফ্যানদের সঙ্গে সাধারণ মানুষের মতো ব্যবহার করি। ধরা যাক কোনও ফ্যান-ফলোয়ার নেগেটিভ কমেন্ট করলো... অনেক অভিনেতাই উত্তর দেন না... কিন্তু আমি যদি দেখি অকারণে কেউ বাজে কমেন্ট বা ভালো কমেন্ট করেছে... যদি মনে হয় আমার মতামত পেশ করা উচিত... লিখে দিই... একদমই ভাবি না সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলোয়ারদের সঙ্গে কথা বলা উচিত নয়। আমি ফ্যানদের খুব ভালোবাসি, ফ্রেন্ডের মতো। কেউ কথা বলতে চায়লে, ছবি তুলতে চায়লে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। বলি, ‘যত ইচ্ছে ছবি তোল, যা ইচ্ছে কর, কোনও ব্যাপার নয়’।

যা ইচ্ছে কর?

হা হা হা হা... ‘যা ইচ্ছে’ মানে ফটো তোল... ইটস অলরাইট... অন্য কিছু না... হা হা হা...

পড়াশোনা চলছে?

হ্যাঁ। বিএসসি থার্ড ইয়ার। সিটি কলেজ। (কথা বলতে বলতেই সান্ধ্য খাদ্যের ডাক এলো। তিনি বললেন, “মোমো খাবো আজ। চিকেন মোমো।”)

কী করে ব্যালান্স হয় কাজ আর পড়াশুনো?

পড়াশুনো... আমার এক্সাম ছিল এই মাসে... দিতে পারিনি... জানি না কী হবে। আপাতত আমি অভিনয়েই ফোকাসড... পড়াশোনাও করব।

আরও পড়ুন, হায় আল্লা, এটা কী করে করব: জয়া আহসান

হবি?

স্কেচ করতে ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি আর একটা হবি। ডান্সও করি। বোর হই না কখনও... মেন হচ্ছে প্রচণ্ড কথা বলি... নতুন মানুষদের সঙ্গে তাড়াতাড়ি মিশতে পারি... মানে, কথা বলাটা আমার হবি, হ্যাবিট, ব্যাড হ্যাবিট... যা খুশি বলা যায়... হি হি হি... আমি এত হাসি... ফ্লোরে কেউ যদি হাসির জন্য বকা খায় সে আমি... হি হি হি...

তাহলে নেগেটিভ ইমেজ ব্র্যাণ্ডিং হয়ে গেল?

যেহেতু প্রথম সিরিয়ালেই আমার ক্যারেক্টার হিট হয়ে গেছে, লোকে আমাকে এভাবেই মনে রাখবে। বেসিক্যালি বেঙ্গলি সিরিয়ালে এরকমই হয়। এই মুহূর্তে বুঝতে পারছি না এটাই ব্র্যাণ্ডিং হয়ে গেল কিনা, নেক্সট প্রোজেক্টে বুঝবো। কিন্তু যত সিরিয়ালের অফার পাচ্ছি সব নেগেটিভ লিড... হয়তো যারা অফার দিচ্ছেন তাঁরাও ভাবছেন আমি এই ধরণের চরিত্র ভালো করবো...কিন্তু যে কোনও ভালো চরিত্র করতে চাই, পজিটিভ হোক বা নেগেটিভ। যদিও প্রথম থেকেই নেগেটিভ ক্যারেক্টার ভালোলাগে... খুব ভালোলাগে রিঙ্কির চরিত্র করতে।


আপাতত আমি অভিনয়েই ফোকাসড... পড়াশোনাও করব।

কেন?

আমি ঝগড়া করতে পারি না, রাগতে পারি না... প্রথম দিকে খুব বকা খেতাম, রাগ করতে বা চেঁচাতে পারি না বলে... বোঝাই যাচ্ছে রিঙ্কি একেবারেই আমার থেকে বিপরীত একটা চরিত্র... (উত্তেজিত)... ধরা যাক একটা মিইয়ে থাকা পরিবেশে একটা মেয়ে বা ছেলে এলো... নেগেটিভ চরিত্র... সে এমন সব কথা বলে দিল... সঙ্গে সঙ্গে গল্পের মুড সুইং হয়ে গেল। একমাত্র একজন ভিলেনই এটা করতে পারে... একটা মুভি বা সিরিয়ালে ভিলেন যদি ঝামেলা না করে, প্রবলেম ক্রিয়েট না করে তাহলে হিরো বা হিরোইন কী করে হিরো বা হিরোইন হবে? সো, ভিলেনরাই হিরো-হিরোইনদের বানায়... (হাসি)।

এত কম বয়সে নেগেটিভ চরিত্র...

হ্যাঁ... মানে... রাস্তাঘাটে লোকজনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়... মা-বাবাকে তো আমার থেকে বেশি উত্তর দিতে হয়। যখন চার্চে যাই লোকজন বুঝতে পারে না আমার সঙ্গে কিভাবে কথা বলবে... নেগেটিভ ক্যারেক্টারকে দর্শক বেশি পয়েন্ট আউট করে... তো আমাকে বুঝিয়ে বলতে হয়... অনেকে বলে, ‘তোমাকে তো দেখে মনেই হয় না রিঙ্কির মতো। এত স্মাইলি ফেস তোমার...’। আগেই বলেছি আমি রিঙ্কির অপোজিট... অভিনেত্রী হিসেবে আমার কোনও ট্যানট্রাম নেই। এখানে যারা টেকনিশিয়ান্স আছেন আমাকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন, যেহেতু আমি ডাউন টু আর্থ... সবাই ভালোবাসে আমাকে... হি হি হি...

অভিনয় ছাড়া নিয়ম করে আর কী করেন?

ব্যারাকপুর চার্চে যাই। গুড ফ্রাইডেতে আমার ফাস্টিং ছিল... গেছিলাম... সপ্তাহে একদিন যে কোনও সময় চার্চে যাই... এটা মেন্টেন করি... যা যা করতে হয়... বাইবেল পড়ি... বয়ফ্রেণ্ড নেই তো... এইসব করি... হা হা...

মানে বয়ফ্রেণ্ড হলে এগুলো করবেন না?

হা হা হা... এগুলো আমি কখনোই ছাড়বো না... বোর হতে চাই না... হা হা... পাশের অন্য সিরিয়ালের ফ্লোরগুলোতেও গল্প করতে চলে যাই... হি হি...

(টলিউডের প্রেম, টলিউডের বক্স অফিস, বাংলা সিরিয়ালের মা-বউমার তরজা -বিনোদনের সব খবর আমাদের বিনোদন বিভাগে।)

TV Tollywood Celebrities
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy