Advertisement
E-Paper

হাওড়ায় পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলিকাণ্ডে অভিযুক্তের নাম আগেও জড়িয়েছে বিভিন্ন মামলায়, হয়েছে জেলও!

হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন সাঁপুইপাড়া-বসুকাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযুক্ত সুমন চৌধুরীও এই নিশ্চিন্দা এলাকারই বাসিন্দা। ২০০৭ থেকে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৫ ২৩:২৯
গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। পরে সেই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে।

গত বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। পরে সেই ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আসে। ছবি: সংগৃহীত।

হাওড়ার নিশ্চিন্দা থানা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে উঠে এসেছে সুমন চৌধুরী ওরফে বাসু চৌধুরীর নাম। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তের কোনও খোঁজ নেই এলাকায়। তবে এই বাসুর বিষয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে বিস্তর আলোচনা শুরু হয়েছে।

ওই দিন সাঁপুইপাড়া-বসুকাটী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান দেবব্রত মণ্ডল (বাবু) একটি অনুষ্ঠান থেকে রাত ১০টা নাগাদ বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অনুপম রানা নামের আরও এক জন। ওই সময়েই তাঁদের উপর হামলা হয়। নিশ্চিন্দা এলাকার বুড়ো শিবতলার কাছে তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। হামলায় অভিযুক্ত বাসু এই নিশ্চিন্দারই রবীন্দ্রপল্লি এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা সরকারি চাকরি করতেন।

স্থানীয় সূত্রে খবর, সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও বাম জমানা থেকেই বাড়বাড়ন্ত শুরু হয় বাসুর। বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মে উঠে আসে তাঁর নাম। সূত্রের দাবি, বেশ কিছু দুষ্কৃতীর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ তৈরি হয়েছিল। যদিও বাসুর সঙ্গে সংগঠনের কস্মিনকালেও যোগাযোগ ছিল না বলেই দাবি সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দিলীপ ঘোষের দাবি, এ সব অভিযোগই ভিত্তিহীন। তাঁরা কোনও দিনই অপরাধকে প্রশ্রয় দেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, অতীতে ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে এই বাসুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। ২০০৭ সালে খুন, খুনের চেষ্টা এবং অস্ত্র আইনের নির্দিষ্ট ধারায় নাম জড়ায় বাসুর। পরে ২০০৯ সালে ডাকাতি এবং ২০১০ সালে মাদক মামলাতেও নাম জড়ায় তাঁর। অতীতে জেলেও যেতে হয়েছিল তাঁকে।

বিজেপির দাবি, রাজ্য রাজনীতিতে পালাবদলের পর তৃণমূলের ছত্রছায়ায় চলে আসেন বাসু। বিজেপি শিবিরের দাবি, গুলিবিদ্ধ ওই পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে এক সময় বেশ ঘনিষ্ঠতাই ছিল বাসুর। প্রধানের ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসা রয়েছে। বাসুও সেই ব্যবসাই শুরু করেছিল। কাজ নিয়েই দু’জনের মধ্যে বচসার সূত্রপাত বলে দাবি বিজেপির।

বিজেপির শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি রামকৃষ্ণ সেনেতির বক্তব্য, সিন্ডিকেট (ইমারতি ব্যবসা) নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও বাসুর সঙ্গে শাসকদলের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি যে তত্ত্ব তুলে ধরেছে, তা পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল শিবির। হাওড়া সদরের তৃণমূল যুব সভাপতি কৈলাশ মিশ্রের বক্তব্য, তাঁরা কোনও অপরাধ বা অপরাধীকে প্রশ্রয় দেন না। এই ঘটনায় অপরাধী শীঘ্রই ধরা পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।

Howrah Firing Incident
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy