খড়্গপুর ডিভিশনের আইমা এলাকায় এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল রেল লাইনে কর্মরত এক কি-ম্যানের। রেলকর্মীদের সংগঠনের ক্ষোভের মুখে কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকালে খড়্গপুরের আইমা এলাকায় রেলের লাইনের উপর কাজ করছিলেন বছর পঞ্চান্নের মনজুর হাইদার। ওই সময় লাইনে আসা একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
ক্ষুব্ধ কর্মীদের বক্তব্য, প্রত্যেক ডিভিশনে কি-ম্যানের সঙ্গে এক জন করে ‘লুক আউট ম্যান’ থাকেন। তিনি দেখেন, কি-ম্যান লাইনে কাজ করার সময় ট্রেন আসছে কি না। কিন্তু এই ডিভিশন সেই ব্যাবস্থা নেই বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, খবর পেয়েও রেল কর্তৃপক্ষ প্রায় ৩ ঘণ্টা পরে দেহ উদ্ধার করেছেন।
রেল পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রেলের ট্র্যাকম্যান পদের অন্তর্গত কি-ম্যান হিসেবে কাজ করতেন মনজুর। শনিবার সকালেও সেই কাজ করছিলেন তিনি। তখনই মৃত্যু। খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ দেহ পৌঁছোয় দেবলপুরের বাড়িতে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী পুতুল খাতুন এবং পরিজনেরা। মনজুরের একমাত্র পুত্র উত্তরবঙ্গের একটি কলেজে এমবিবিএস পড়ছেন।
এই ঘটনায় রেলের চূড়ান্ত গাফিলতির অভিযোগ তুলে অনিল দাস বলেন, ‘‘এই মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে না রেল।’’ রেলপুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ অনিলের। তিনি বলেন, ডাউন সম্বলপুর-শালিমার এক্সপ্রেসের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রায় ২-৩ ঘণ্টা পরে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই বিষয়ে খড়্গপুর জিআরপি-র এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা খবর পাওয়ার পরেই দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’’ এই বিষয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের ডিআরএম ললিতমোহন পাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও, তিনি ফোন ধরেননি। তবে, এক জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই পরিবারের পাশে থাকবে রেল। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ-সহ অন্যান্য সুবিধাও পাবে।