সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত ‘অবোধ’ ছবিটি সে বছরের দ্বিতীয় বড় হিট বলেই মনে করা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
সম্প্রতি ৫৬-য় পা দিলেন মাধুরী দীক্ষিত। নব্বইয়ের দশকে ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীদের তালিকায় প্রথম সারিতে নাম লিখিয়ে ফেলেন মাধুরী দীক্ষিত। অভিনয় দক্ষতার পাশাপাশি নাচেও পারদর্শী ছিলেন তিনি। দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে বেশি সময় লাগেনি অভিনেত্রীর।১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘অবোধ’ নামের একটি হিন্দি ছবিতে বাঙালি অভিনেতা তাপস পালের বিপরীতে প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। কিন্তু ছবিটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। তার পর ‘তেজাব’, ‘সাজন’, ‘দিল’, ‘বেটা’-এর মতো ছবিতে অভিনয়। একের পর এক হিট। নব্বইয়ের দশকের শুরুতেই মাধুরী পয়লা নম্বর নায়িকার দৌড়ে সামিল । এর পর ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ‘খলনায়ক’। এই ছবিতে হইচই ফেলে দেয় মাধুরীর নাচ। সঞ্জয় দত্ত ও মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত এই ছবিকে সে বছরের দ্বিতীয় বড় হিট বলেই মনে করা হয়। সেই সময় প্রতিষ্ঠিত নায়িকা হয়েও ছবির জন্য মাধুরীকে মানতে হয় শর্ত। নেপথ্যে ছিল সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন।
সুভাষ ঘাই পরিচালিত এই ছবি ২৫ বছর পূর্ণ করল। ছবিতে মাধুরীর ‘চোলি কে পিছে’ গানটি হিল্লোল তোলে সেই সময় তরুণদের হৃদয়ে। জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছন অভিনেত্রী। তবে এই ছবির জন্য তাকে সই করতে হয় চুক্তিপত্রে। সেটি ছিল ‘নো প্রেগন্যান্সি’ শর্ত। অর্থাৎ ছবি তৈরির সময় বিয়ে না করা এবং গর্ভবতী না হওয়ার শর্ত রাখা হয়েছিল মাধুরীর সামনে। হিন্দি সিনেমার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও প্রযোজক এমন একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করান নায়িকাকে। তবে এর পিছনে নাকি কারণ ছিলেন সঞ্জয় দত্ত।
‘খলনায়ক’ ছবির সময় সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে মাধুরীর প্রেমের গু়ঞ্জন সবর্ত্র। অনেকেরই ধারণা ছিল এই ছবি চলাকালীন বিয়ে করতে পারেন মাধুরী-সঞ্জয়, সেই আশঙ্কা থেকেই ছবির পরিচালক এমন সিদ্ধান্ত নেন কি না তা অবশ্য জানা যায়নি। যদিও সেই বছর ব্যপক সাফল্য পায় খলনায়ক ছবি। মাধুরী-সঞ্জয়ের সম্পর্কের গুঞ্জন শুধুই কানাঘুষো হয়ে রয়ে যায়। ডাক্তার স্বামীর সঙ্গে সংসার পেতেছেন মাধুরী, অন্য দিকে মান্যতার সঙ্গে ঘর করছেন অভিনেতাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy