মায়াকুমারীর চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
অক্টোবরের শুরুতেই কি খুলে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। যদি সত্যিই তাই হয়, তবে সুখবর। পুজোর মরসুমেই মুক্তি পাবে অরিন্দম শীল পরিচালিত ছবি ‘মায়াকুমারী’। খবর তেমনই।
চল্লিশের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মায়াকুমারী ও বিখ্যাত অভিনেতা-পরিচালক কানন কুমারের কাহিনি নিয়ে ছবিটি। ডাকসাইটে নায়িকা মায়াকুমারীর প্রেমে পড়েন অভিনেতা-পরিচালক কানন কুমারের। অথচ তখন তিনি শীতল ভট্টাচার্যের স্ত্রী। শোনা যায়, মায়াকুমারী ও কাননকুমারের প্রেমের সম্পর্ক ঠিকভাবে নেয়নি তৎকালীন সমাজ। কোনও ছবিতে নায়কের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যের কারণে এবং খোলা পিঠের জন্য প্রিমিয়ারে নায়িকাকে থুতু ছিটিয়েছিল দর্শক।
ছবিতে মায়াকুমারীর ভূমিকায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং কাননকুমার ও তাঁর নাতি আহিরের চরিত্রে অভিনয় করবেন আবির চট্টোপাধ্যায়। পর্দায় শীতল ভট্টাচার্য রজতাভ দত্ত। এ ছাড়াও রয়েছে একগুচ্ছ স্টারকাস্ট। ইন্দ্রাশিস রায়, ফলক রশিদ, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, সৌরসেনী এবং অম্বরিশ সহ অনেকেই। তবে ছবির ইউএসপি হল আবির চট্টোপাধ্যায়ের লুক। ‘মায়াকুমারী’র মতো এত ধরনের বেশ বদল আগে করতে হয়নি অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়কে। আর প্রতিটি লুকেই রয়েছে খানিক তারতম্য। সিনেমার মধ্যে আর একটি সিনেমা, মিশে যাচ্ছে রিল আর রিয়্যাল। তাই এত চরিত্র আর লুকের ঘনঘটা।
ঋতুপর্ণা এবং রজতাভ
করতে হয়েছে প্রস্থেটিক মেকআপও। যেহেতু ছবির মধ্যে ছবি, তাই কাননকুমার যখন পর্দার নায়ক, সেই চরিত্রগুলোর জন্যও আবীরকে বেশ কয়েক রকমের লুক নিতে হয়েছে। মায়াকুমারীর লুকে ঋতুপর্ণা যথাযথ। কখনও খোলা পিঠে কাঁখে কলসী আবার কখনও বা সাবেকি গয়ানায় তিনি যথার্থই হিরোইন’।
এই ছবির প্রযোজক নীল রতন দত্ত জানিয়েছেন, হল খুললে যদি দেখা যায় মানুষ হলমুখী হচ্ছেন তবে যত দ্রুত সম্ভব হলেই ছবিটি রিলিজ হবে। হাজার হোক, বড় পর্দার কথা মাথায় রেখেই বানানো হয়েছে ছবিটি।
তবে প্রশ্ন হল হল খুললেও মানুষ আদৌ প্রেক্ষাগৃহমুখী হবেন? অরিন্দমের কথায়, ‘‘লন্ডনে ক্রিস্টোফার নোলানের ছবি ‘টেনেট’ রিলিজ়ের প্রথম দিন ৫৫ শতাংশ দর্শক হলে এসে দেখেছেন। অ্যাডভান্স বুকিং হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতিতে এটা খুবই আশাব্যঞ্জক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy