ধারাবাহিক: ভাগ্যলক্ষী।
শুক্রবার সেট জুড়ে থমথমে পরিবেশ। অন্য দিনের চেয়ে শ্যুটিংয়ও হয়েছে বেশি সময় ধরে। কিন্তু সবার চোখ যে ভেজা! পর্ব ছোট করে দেওয়ার পরেও কাজে মন নেই কারও। কারণ? মাত্র ২০১ পর্বে শেষ হয়ে গেল স্টার জলসার ধারাবাহিক ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’। গতকাল ছিল তার শেষ শ্যুটিং। রেটিং চার্ট অনুযায়ী মেগার টিআরপি যথেষ্ট ভাল। ২টো ‘স্টার জলসা পরিবার অ্যাওয়ার্ড’ ঝুলিতে।
তার পরেও কেন মাত্র ৮ মাসে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাত ৯টার এই স্লট লিডার?
আনন্দবাজার ডিজিটাল প্রশ্ন রেখেছিল ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘বোধিসত্ত্ব’ ওরফে রাহুল মজুমদারের কাছে। অভিনেতা অকপটে জানালেন, ‘‘সত্যি বলছি, কিচ্ছু জানি না। শোনার পরে যেমন অবাক, তেমনই মনখারাপ। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ, প্রযোজক যা ঠিক করবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে।’’ রাহুল এক মাস আগেই জানতে পেরেছিলেন, ২১ মার্চ শেষ সম্প্রচারণ ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’র।
এই প্রথম কোনও ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র হয়ে উঠেছিল একটি দোকান, ‘লক্ষ্মী স্টোর্স’। যাকে ঘিরে আবর্তিত এক যৌথ পরিবারের সুখ-দুঃখ, ভাঙা-গড়া। পরে বোধির স্ত্রী ভাগ্যশ্রীর নাম জুড়ে যায় লক্ষ্মী স্টোর্সের সঙ্গে। নতুন নামকরণ হয় দোকানের, ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’। স্বাভাবিক ভাবেই মন ভাল নেই ‘ভাগ্যশ্রী’ শার্লি মোদকেরও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ৮ মাস ধরে ১৪ ঘণ্টা এক সঙ্গে সবাই কাটিয়েছেন। সেট তাঁদের ঘরবাড়ি, অভিনেতারা পরিবার হয়ে উঠেছিলেন এক সময়। আচমকা সেই পথচলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না কেউই। ‘‘কাকে ছেড়ে কার কথা বলব! সবাই ভীষণ আপন হয়ে গিয়েছিলেন’’, দাবি শার্লির। তাই প্রথা মেনে শ্যুটিং শেষে কেক কাটা হলেও উদ্যাপন ছিল না সেখানে।
ধারাবাহিকের শেষে বোধি-ভাগ্যের চেষ্টায় আবার এক হবে সবাই। বাস্তবেও বোধি-ভাগ্য যদি এ ভাবেই আরও অনেক পর্ব এগিয়ে নিয়ে যেতে পারত? ‘‘হলে খুবই ভাল হত’’ মেনে নিলেন রাহুল। সঙ্গে এও বললেন, এখানেই রিল আর রিয়েলের তফাৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy