Advertisement
E-Paper

‘রাতে পুরুষ নার্স থাকলে রোগিণী সুরক্ষিত থাকবেন তো?’ নাইট ডিউটি নিয়ে প্রশ্নে মীর

মীরের জিজ্ঞাসা, মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে অব্যাহতি মানে পুরুষ নার্সের উপস্থিতি। সে ক্ষেত্রে রোগিণীরা সুরক্ষিত থাকবেন তো?

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১১:৫৯
Image Of Mir Afsar Ali

নাইট ডিউটি নিয়ে প্রতিবাদী মীর আফসার আলি। গ্রাফিক্স: সনৎ সিংহ।

আরজি কর-কাণ্ডের পর কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তায় জোর দিতে একাধিক পদক্ষেপের কথা ঘোষণা রাজ্য সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাতের কর্মস্থলে মহিলাদের নিরাপত্তা বিষয়ে মূলত ১০টি এবং অতিরিক্ত ৭টি, অর্থাৎ মোট ১৭টি পদক্ষেপের কথা জানান। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, যত দূর সম্ভব মহিলাদের রাতের শিফ্‌ট থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। নাইট ডিউটি নিয়ে রাজ্য সরকারের এই বক্তব্যের পরেই নতুন করে চর্চা শুরু। সাধারণ থেকে খ্যাতনামী, অধিকাংশ মানুষের দাবি, দিনের মতো রাতের উপরেও মেয়েদের অধিকার আছে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে এই দাবির সমর্থনে বক্তব্য রাখলেন মীর আফসার আলি। তাঁর জিজ্ঞাসা, মহিলা নার্সের বদলে পুরুষ নার্স এলে রোগিণীরা কতটা নিরাপদ?

মীরের স্ত্রী সোমা ভট্টাচাৰ্য পেশায় চিকিৎসক। তাই অভিনেতা, বাচিকশিল্পী খুব কাছ থেকে এই পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জানেন। সেই জায়গা থেকে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ধরুন, রাতের ডিউটি নারীদের জন্য আর আবশ্যিক থাকছে না এবং আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রত্যেক মেয়েই চাইবেন যাতে সুরক্ষিত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে পারেন। তাঁদের বাড়ি থেকেও হয়তো বলবে, রাতের ডিউটি না করাই মঙ্গল।’’ এই জায়গা থেকেই মীরের আশঙ্কা, মহিলা নার্স রাতে কাজ না করলে তাঁদের জায়গায় পুরুষ নার্স আসবেন। এ বার কি তা হলে রোগিণীদের পালা? তাঁরা পুরুষ নার্সের লালসার শিকার হবেন না, কে বলতে পারে? এঁদের সুরক্ষিত রাখার দায় কে নেবে?

মীরের উপলব্ধি, শাসনব্যবস্থা একেবারে নড়বড়ে হয়ে গেলে শাসকের থেকে সমাজের কাছে এমন বার্তাই আসে। তাই তাঁর মত, সুপ্রিম কোর্ট থেকে অন্তিম রায় না আসা পর্যন্ত প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে হবে। পথে নামতে হবে। এ ভাবেই চাপে রাখতে হবে সব পক্ষকে।

মঙ্গলবার আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রথম শুনানিতে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সে প্রসঙ্গে মীরের বক্তব্য, “চিকিৎসকদের আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছে, এত সহজে ওঁরা কাজে ফিরবেন না।” তাঁর মতে, কোথাও ক্ষত তৈরি হলে রক্তপাত বন্ধ করতে ক্ষতস্থান চেপে ধরে থাকতে হয়। না হলে রক্তপাত বন্ধ হয় না। আরজি কর-কাণ্ডও তেমনই দগদগে একটি ক্ষত। যার নিরাময়ের আশু প্রয়োজন। তা না করে কাজে ফেরা মানে ক্ষত নিরাময়ে গাফিলতি। কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন চিকিৎসক সম্ভবত তা করবেন না।

RG Kar Protest Mir Afsar Ali Night Duty
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy