কেন মনখারাপ রশ্মিকার? ফাইল চিত্র।
কেউ তাঁকে ভালবাসেন না, দুঃখ করেন রশ্মিকা মন্দনা। এ দিকে কারণ নেই কোনও। ‘গুডবাই’-এর পর আবার বলিউডে নতুন ছবি আসছে তাঁর। নাম ‘মিশন মজনু’। যদিও ছবিটি ওটিটি মঞ্চে মুক্তি পাবে, কোমর বেঁধে প্রচারে দেখা যাচ্ছে রশ্মিকা আর তাঁর সহ-অভিনেতা সিদ্ধার্থ মলহোত্রকে। এত কিছুর পরও মনখারাপ রশ্মিকার। কেন যে লোকে তাঁকে পছন্দ করেন না, ভেবেই পাচ্ছেন না দক্ষিণের নায়িকা।
তার পর দুইয়ে দুইয়ে চার করে বুঝলেন, সমস্যার মূলে সেই ‘কান্তারা’। যে কন্নড় ছবিটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে বেশ কয়েক মাস হয়ে গিয়েছে, এখনও দেখে উঠতে পারেননি রশ্মিকা। সে কথাই ফলাও করে বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে। তার পরই গোলমাল। আবার প্রশ্ন ওঠে অভিনেত্রীর ঔদ্ধত্য নিয়ে। “নিজে কোথা থেকে উঠে এসেছেন তা কি ভুলে গিয়েছেন?” এ ধরনের মন্তব্য শুনতে হয়েছিল সে বারও। তবে দমেননি রশ্মিকা। বরাবরের মতো বলেছিলেন, “মানুষ ভালবাসে, ঘৃণাও করে। সবার মন জুগিয়ে চলা যায় না।”
এ দিকে যা ভাবলেন তা কাজে করতে পারলেন না রশ্মিকা। লোকজন তাঁর উপর চটে থাকলে তিনিও যে ফুরফুরে মেজাজে থাকতে পারেন না, আগেও দেখা গিয়েছে। মুখে বলেন তাঁর কিছুতে কিছু আসে যায় না, এ দিকে মনখারাপ করে বসে আছেন নিজেই। বলা কথা কি এ বার ফিরিয়ে নেবেন? নাকি লোকের মন জুগিয়ে ভেবেচিন্তে কথা বলবেন এর পর থেকে?
এর আগেও কথার প্যাঁচেই বেকায়দায় পড়েছিলেন ‘পুষ্পা’-খ্যাত রশ্মিকা। এক সাক্ষাৎকারে নিজের শুরুর দিকের কথা বলতে গিয়ে ঊহ্য রেখেছিলেন প্রযোজনা সংস্থার নাম। এ দিকে সেই সংস্থার হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রাখা রশ্মিকার, এমনই দাবি করেন প্রযোজকরা। এর পর বিপুল অশান্তি দানা বাঁধে। রশ্মিকাকে অকৃতজ্ঞ মনে করে দক্ষিণের ছবির জগৎ মুখ ফিরিয়ে নেয়। তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ডাক দিয়েছিলেন দক্ষিণের প্রযোজকরা। সে অবস্থায় কেরিয়ার চৌপট হয়ে যেতে বসেছিল রশ্মিকারও। তাই কি বলিউডকেই আঁকড়ে ধরতে চাইছেন এখন? একের পর এক ছবি করছেন বলিউডেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy