মাথার চুল, দাড়ি-গোঁফ কাঁচাপাকা মেশানো। বয়সের ভারে চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। কপালে শত কুঞ্চন। মোটা ভ্রু-র আড়ালে তীক্ষ্ণ এক জোড়া চোখ। পাড়ার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছেন তিনি। মেয়েরা হন্যে হয়ে খুঁজছেন বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীকে। একটা সময়ের পরে বিরক্ত তাঁরা। গজগজ করে উঠেছেন, “কোথায় সোহম? কারা এত মিথ্যে খবর ছড়ায়?” একটু দূরে নির্বিকার মুখে দাঁড়িয়ে অভিনেতা। খুঁটিয়ে লক্ষ করলে দেখা যাবে, দাড়ি-গোঁফের আড়ালে হাসি লুকোচ্ছেন তিনি। রূপটান শিল্পী সোমনাথ কুন্ডুর হাতের ছোঁয়ায় তাঁর অকালবার্ধক্য দশা!
মঙ্গলবার প্রকাশ্যে তাঁর সেই চেহারা। ‘বহুরূপ’ ছবিতে এ ভাবেই দেখা যাবে তাঁকে। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনন্দবাজার ডট কমকে মেয়েদের চিনতে না পারার গল্প ভাগ করে নিয়েছেন রূপটান শিল্পী। তাঁর কণ্ঠে তৃপ্তির ছোঁয়া। বললেন, “সোহমকে ওর ছেলেবেলা থেকে চিনি। খুবই সহযোগিতা করেছে। শুটিং হয়েছে চড়া গরমে। ওকে বৃষ্টিতেও ভিজতে হয়েছে ছবির খাতিরে। এত ভারী মেকআপ নিয়ে অভিনয় সহজ কথা নয়।”
এই নিয়ে মোট সাতটি চেহারায় এই প্রথম পর্দায় ধরা দেবেন তিনি। এ কথা আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছেন সোহম। এই ‘লুক’-এ তিনি আউটডোর শুটিংয়ে গিয়েছিলেন। কেউ চিনতে পারেননি তাঁকে! “অভিনেতাদের কাছে এটুকুই তো পাওনা” ফোনের ও পারে হাসতে হাসতে দাবি তাঁর। অভিনেতা আরও জানিয়েছেন, এত দিন সবাইকে এই বিশেষ মেকআপের সাহায্যে ভোল বদলাতে দেখেছেন। নিজে প্রস্থেটিক মেকআপ নিলেন এই প্রথম। “দারুণ লেগেছে জানেন। অনেকটা সময় ধরে রূপটান নিতে হত। তোলার সময়েও একই ঘটনা। তার পর যখন আয়নার সামনে দাঁড়াতাম, নিজেই নিজেকে চিনতে পারতাম না! বাকিদের কথা বাদ দিন”, বক্তব্য সোহমের।
আরও পড়ুন:
এই ছবিতে সোহমের সঙ্গে রয়েছেন ইধিকা পাল, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, লোকনাথ দে, ভরত কল, দেবলীনা দত্ত, রাজু মজুমদার এবং আরও অনেকে। পরিচালনায় আকাশ মালাকার। পর্দায় এক অভিনেতার গল্প বলবেন তিনি। সোহমের ‘লুক’ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, “সোহমদা আর সোমনাথদার এই যুগলবন্দি দর্শক এবং বাংলা ছবির ইতিহাস মনে রাখবে অনেক দিন। ছবিটি রহস্য-রোমাঞ্চ ঘরানার। আশা, সকলের ভাল লাগবে।”