Advertisement
E-Paper

বিরোধিতা থাকবেই, আমরা যেন সৌজন্যবোধ না হারাই! সুজন, স্বরূপকে রাখি পরিয়ে বার্তা লাভলির

শুধুই নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রে নয়, স্টুডিয়োয় সকলের সঙ্গে রাখি বিনিময় করে মিষ্টিমুখ করেন সোনারপুরের (দক্ষিণ) বিধায়ক।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২৫ ২০:১৪
ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে রাখি পরালেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ লাভলি মৈত্র।

ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে রাখি পরালেন অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ লাভলি মৈত্র। ছবি: সংগৃহীত।

সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলি মৈত্রের সৌজন্যবোধ বরাবর প্রশংসিত। তিনি অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করেন। একই ভাবে প্রবীণ বিরোধী নেতার সঙ্গে সৌজন্য দেখাতেও ভোলেন না। যেমন, দেখালেন রাখি পূর্ণিমার দিন, সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর হাতে রাখি বেঁধে। লাভলির এই সৌজন্যবোধ প্রশংসিত হয়েছে। আনন্দবাজার ডট কম তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতেই শাসক দলের বিধায়ক বললেন, “মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমাদের বরাবর শিখিয়েছেন, আমরা যেন মানবিকতা, সৌজন্যবোধ না হারাই। আমি সেটাই পালন করার চেষ্টা করেছি।”

লাভলির নির্বাচনী কেন্দ্রের বাসিন্দা সুজন। এ দিন সকাল থেকে প্রতি বছরের মতো রাখিবন্ধনের আয়োজন করেছিলেন লাভলি। হঠাৎই পথে হল দেখা। মুখোমুখি হতেই যাবতীয় বিরোধিতা সরিয়ে হাসিমুখে কুশল বিনিময়। তার পর ফুলের রাখি নিয়ে এগিয়ে যান সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক। কোনও দ্বিধা দেখাননি সুজনও। তিনিও অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদের হাত থেকে রাখি পরেন।

লাভলির রাখিবন্ধন উৎসব কিন্তু এখানেই শেষ নয়। এ দিন মুভিটোন স্টুডিয়োয় লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ধারাবাহিক ‘চিরসখা’র সেটে রাখিবন্ধন উদ্‌যাপিত হয়। আয়োজনে ফেডারেশন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস। রাখিবন্ধনের পর মিষ্টিমুখ করানো হয়। লাভলির কথায়, “অভিনেতা-কলাকুশলী মিলিয়ে আমরা এক পরিবার। একে অন্যকে ছাড়া প্রত্যেকে অচল। আমরা যেন কখনও ভিন্ন না হই, এ দিন সকলে মনে মনে সেই শপথ নিলাম।”

এত আনন্দের মধ্যেই লুকিয়ে বিষাদ। এক বছর আগে আরজি কর-কাণ্ডে ধর্ষণ-খুন হন কর্তব্যরত তরুণী চিকিৎসক। প্রসঙ্গ তুলতেই বিষাদের সুর লাভলির কণ্ঠেও। নিজের এলাকায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে এ দিন বিশেষ কিছু ভাবলেন তিনি?

বিধায়ক-অভিনেত্রীর জবাব, “কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষা বলছে, গোটা দেশের মধ্যে কলকাতা নারীসুরক্ষায় প্রথম। আমাদের শহরের নারীরা এখনও অন্যান্য শহরের থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।” একই সঙ্গে এও মেনে নেন, নিরাপদ নগরীতে একটি ধর্ষণ-মৃত্যুও কাম্য নয়। তার পরেও তাঁর আস্থা মুখ্যমন্ত্রীর উপরে। দাবি, “ধর্ষকের ফাঁসি চেয়ে প্রথম পথে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশাসন প্রথমে অপরাধীকে সনাক্ত করেছে। বিচারাধীন মামলা নিয়ে বেশি কথা কাম্য নয়। তবে আমার বিশ্বাস, ন্যায় আমরা পাবই।”

Lovely Mitra Swarup Biswas Sujan Chakraborty Rakhi Bandhan 2025
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy