এই বিশ্বাস গল্পকার লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের। এই বিশ্বাস তিনি ২০১৮-য় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁর প্রথম ছবি ‘মাটি’তে। আরও একবার সেই বিশ্বাসকেই হাতিয়ার করে নতুন বছরে ঘরে ফেরার ডাক দিচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে। যে ডাক শোনা যাবে ম্যাজিক মোমেন্টসের নয়া উপহার ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে। সোমবার সন্ধেয় ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের মুখোমুখি টিম দেশের মাটি। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়, শৈবাল বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন তথাগত মুখোপাধ্যায়, রুকমা রায়, দিব্যজ্যোতি দত্ত, শ্রুতি দাস এবং রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়।
লীনার কাছে ছোট পর্দার দর্শকদের প্রত্যাশা প্রচুর। লীনা নিজেও স্বীকার করলেন, সেই প্রত্যাশাকে সম্মান দিতে ‘শ্রীময়ী’, ‘খড়কুটো’ বা নতুন ধারাবাহিকে তিনি নিজেকে বদলে ফেলেছেন আরও। যেমন? তিনি আর নায়ক-নায়িকা প্রধান গল্প লেখেন না। ইদানীং পরিবারতন্ত্রের প্রতি জোর দিচ্ছেন। ফলে তাঁর ধারাবাহিকে সব চরিত্রই গুরুত্বপূর্ণ। এই ট্রেন্ড দেখা যাবে ‘দেশের মাটি’তেও। সঙ্গে এ কথাও জানালেন, তার পরেও ধারাবাহিকে মূল চরিত্র থাকেই। যাকে বা যাদের ঘিরে আবর্তিত হয় গল্প। তাদের প্রতিনিধি দাদুর নাতি এবং স্বরূপনগরের ‘নোয়া’। এক জন বিলেত ফেরত। অন্য জন দেশের মাটিতে লালিত।
ধারাবাহিকের পটভূমিকায় গত প্রজন্মের স্বপ্ন, ভাবীকাল যেন চিনতে শেখে নিজেদের শিকড়, জন্মভিটেকে। সেই স্বপ্ন স্বরূপনগরের দাদু-দিদার চোখেও। তাঁরা অনবরত ডাক পাঠান উত্তরসূরিদের। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে নাতি কি ফিরবে দেশের মাটির টানে? উত্তর দেবে ‘দেশের মাটি’।
আরও পড়ুন: ‘চরিত্রহীন ৩-এর গল্প না পড়ে রাজি হয়ে ভুল করেছি’: নয়না
শৈবাল জানালেন, মেগায় প্রচুর গান। ধারাবাহিক শুরুই হবে গান দিয়ে। নানা জায়গায় শ্যুট হয়েছে প্রভাতফেরির অংশ। স্বরূপনগরকে জীবন্ত করতে শ্যুটিং হচ্ছে বারুইপুর এবং তার আশপাশে। এছাড়া, কলকাতাতেও তৈরি হয়েছে বিশাল সেট। গান হেঁশেল সামলেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র।