ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে বেশ আনন্দেই ছিলেন পলক মুচ্ছল। গায়েহলুদ থেকে সঙ্গীত— সব অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন। কিন্তু, এক লহমায় যেন বদলে গেল চিত্র। বিয়ে বাতিল হয়েছে স্মৃতি মন্ধানা ও পলাশ মুচ্ছলের। জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পলাশ। স্মৃতিও জানিয়েছেন, ক্রিকেটের থেকে বড় কোনও ভালবাসা নেই তাঁর জীবনে। জীবন থেমে নেই কারও। ভাইয়ের বিয়ে ভাঙলেও নজির গড়েছেন পলক। কিন্তু, প্রশংসার বদলে জুটছে কটাক্ষ।
বহু বছর ধরেই সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত পলক। একা দায়িত্ব নিয়ে প্রায় ৩৯৬ জন দুঃস্থ শিশুর হৃদ্রোগের খরচ দিলেন তিনি। প্রায় ১০ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তিনি। গায়িকার বাড়িতে একটি গোটা আলমারি রয়েছে পুতুলের। যে সব বাচ্চার চিকিৎসার খরচ তিনি দেন, তারা সুস্থ হয়ে উঠলে উপহার হিসাবে তাদের থেকে একটা করে পুতুল নেন পলক। গায়িকা বলেন, ‘‘আমার ঘরভর্তি পুতুল। কারণ, ওই পুতুলগুলোর মাধ্যমে এই শিশুদের আমি মনে রাখি।’’ শুধু তা-ই নয়, পলকের এই কৃতিত্বের জন্য ‘গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ নাম রয়েছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, মহারাষ্ট্রের সরকারি স্কুলের পাঠ্যবইয়ে তাঁর কৃতিত্বের উল্লেখ রয়েছে। পলক জানান, কোনও নামের জন্য নয়, বরং ছোট ছোট শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর জন্যেই তিনি যা করার করেন।
তবে এই কথা খুব সহজ ভাবে গ্রহণ করেনি সমাজমাধ্যম। এমনিতে পলককে নিয়ে কখনও কোনও কটূ কথা শোনা যায়নি সমাজমাধ্যমে। তবে, এ বার পলকের মন্তব্য-বাক্স ভরে গিয়েছে পলাশকে নিয়ে। কেউ লিখেছেন, আপনি ভাল, কিন্তু আপনার ভাই জঘন্য। কারও কটাক্ষ, এক দিকে বোন হৃদ্রোগের চিকিৎসা করান আর অন্য দিকে ভাই হৃদয় ভাঙেন। পলকের কৃতিত্ব কি ঢাকা পড়ে গেল পলাশের কারণে?