বাবা হওয়ার পরে প্রথম জন্মদিন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। তাই চলতি বছর থেকে বদলে গিয়েছে জন্মদিনের সংজ্ঞাও। জন্মদিন বলে আলাদা করে তাই কোনও বিশেষ পরিকল্পনাও নেই।
বরাবরই ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ও পরিবারকে নিয়ে জন্মদিন কাটাতে ভালবাসেন পরমব্রত। তবে এ বার বাবা পরমব্রতের জন্মদিন জুড়ে রয়েছে বাড়ির খুদে সদস্য, জানান পিয়া চক্রবর্তী। জন্মদিনের পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, “এ বছর তেমন কোনও পরিকল্পনাই নেই। আমাদের এখন একটাই ভাবনা, কী ভাবে রাতে একটু ঘুমোব। এ বছরের জন্মদিন অবশ্যই অন্য বারের তুলনায় ভিন্ন ও বিশেষ। কিন্তু উদ্যাপনের তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই।”
কিছুদিন আগে পরমব্রত নিজেও জানিয়েছিলেন, সন্তান হওয়ার পরে পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকবেন। সেই মতোই জন্মদিনে বাড়িতেই রয়েছেন তিনি। রাখেননি কোনও কাজ। শুধু জন্মদিন উপলক্ষে একটি সামাজিক কাজে বাড়ির বাইরে বেরোবেন। পিয়ার কথায়, “আজ খুদে সদস্যের সঙ্গে কথা বলেই কেটে যাবে ওর। হয়তো খুব কাছের কয়েকজন বন্ধূবান্ধব বিকেলে আসবে। এ টুকুই।” সন্তান হওয়ার পর থেকে রাতের ঘুম উড়েছে।
বাবাকে নাকি ছোট্ট সদস্য জন্মদিনের ‘শুভেচ্ছা’ও জানিয়েছে। হাসতে হাসতে পিয়া বলেন, “মজা করে পুচকেকে জিজ্ঞাসা করেছি, ‘বাবাকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছ? সেও হাত পা নেড়ে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। এই ভাবেই মজা করে আজকের দিনটা কাটছে।”
পিতৃদিবসে সন্তানের প্রথন ঝলক প্রকাশ্যে এনেছিলেন পরমব্রত। একরত্তির কোমল হাতের ছবি ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে লিখেছিলেন, “পিতৃত্বকে বটগাছ বই অন্য কিছুর সঙ্গে তেমন একটা তুলনায় আনা হয় না। পিতৃত্বের অনুভূতি, চিন্তা, অস্থিরতা, ত্যাগ কী ভাবে এবং কতখানি এক জন বাবাকে ঘিরে থাকে তা গত ১৫ দিন ধরে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করার চেষ্টা করছি৷ বোঝার চেষ্টা করছি পিতৃত্বের দায়িত্ব, যা নিঃশব্দে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন আমার বাবা।”