পরীমণি
৪ দিন ধরে ঘুরেও ন্যায় পাননি তিনি। রবিবার রাতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা হিসেবে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতেই রাতারাতি ন্যায় পেলেন পরীমণি। নেটমাধ্যমে অভিনেত্রীর লেখা খোলা চিঠি বলছে, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। সেই সুবাদে মঙ্গলবার সকালে দেশের প্রশাসন, সংবাদমাধ্যম এবং সমস্ত দেশবাসীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন তিনি। নেটমাধ্যমে লিখলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সকল সাংবাদিক, সহকর্মী এবং দেশের মানুষ যাঁরা আমার এই দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, আছেন আমি সকলের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ’। অভিনেত্রীর মতে, এঁরাই তাঁর সাহস।
পাশাপাশি অভিনেত্রীর অভিযোগ, সঠিক জায়গায় পৌঁছনোটাই যত কষ্টের! এই প্রসঙ্গে রবিবার তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘‘সাধারণ মেয়ে হিসেবে যখন বিচার চাইতে গিয়েছি কাউকে পাশে পাইনি। অভিনেত্রী পরীমণি যখন মুখ খুললেন তখন তাঁর কথা শুনতে সবাই রাজি!’’ তার পরেও দেশের আইন, প্রশাসন সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখেন তিনি। নিরাপত্তা চেয়ে শেখ হাসিনাকে ‘মা’ সম্বোধন করে খোলা চিঠি দেন নেটমাধ্যমে। সঙ্গে সঙ্গে পরীমণির সমর্থনে বিশাল জনমত তৈরি হয়ে যায়। তার জন্য অভিনেত্রী ঋণী প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সে কথা তিনি অকপটে জানিয়েওছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি এই দেশের আশীর্বাদ। আপনি মা। আপনি মমতার আঁচলে জড়িয়ে রাখেন আপনার সকল সন্তানকে’।
১০ জুন পরীমণি এবং তাঁর ২ বন্ধুর সঙ্গে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। রবিবার সংবাদমাধ্যমে এমনটাই দাবি করেন অভিনেত্রী। জানান, ঢাকা ক্লাবে কয়েক জন ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। তাঁদের একজন আচমকা তাঁর মুখে পানীয়ের গ্লাস চেপে ধরেন। শ্লীলতাহানিরও চেষ্টা করেন। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁর এক বন্ধুকে। এঁদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। তাই গত ৪ দিন ধরে পরীমণি প্রশাসন সহ সবার সাহায্য চেয়েও পাননি।
ঘটনার পরে মানসিক দিক থেকে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। তাঁর সামাজিক পাতায় ভাগ করে নেওয়া ভিডিয়ো বলছে, ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে বারেবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। মঙ্গলবারে তিনি জানান, সংবাদমাধ্যম, সহ-অভিনেতা এবং দেশের মানুষদের সমর্থন তাঁকে মানসিক শক্তি জুগিয়েছে। এখন তাঁর একটাই চাওয়া, আসামীরা যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। কোনও ভাবেই যেন এই ধরনের লোকেরা ভবিষ্যতে আর কোনও মেয়েকে এ ভাবে নির্যাতন, অপমান করার সাহস না পায়। পরীমণির দাবি, তিনি কিছুতেই হার মানবেন না। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy