প্রিয়ঙ্কা চোপড়া
কয়েক মুহূর্তের মধ্যে মঞ্চে যেতে হবে। সাজগোজ চলছে পুরো দমে। বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা বলে কথা! টিপটপ হয়ে থাকতে হবে। নিখুঁত সাজে সজ্জিত হতে হবে। সাজঘরে প্রায় ৯০ জন প্রতিযোগী। হুলুস্থুল কাণ্ড। তারই মধ্যে ‘হেয়ার কার্লার’ নিয়ে চুল কোঁকড়াচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। মনে অগাধ স্বপ্ন। সঙ্গে ভয়ে বুক দুরুদুরু করছে তাঁর।
এমনই সময়ে কোনও এক মহিলা প্রিয়ঙ্কাকে অনিচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা দিয়ে ফেলেন। হাত ফসকে যায় তাঁর। হাতে ছিল গরম ‘হেয়ার কার্লার’। কপালটা যায় পুড়ে। পোড়ার দাগ হয়ে যায় সেখানে।
২০০০ সালের ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতা জেতার মুহূর্তের কথা মনে পড়ছে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। সেই স্মৃতিরোমন্থনের অংশ হয়ে উঠল এক সংবাদসংস্থা। সাক্ষাৎকারে মঞ্চে ওঠার আগের দুর্ঘটনার কথা জানালেন প্রশ্নকর্তাকে।
দুর্ঘটনাকে ঢাকার জন্য মেকআপ ও তাঁর চুলের সাহায্য নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁর মতে, ও ভাবে চুলের একটি অংশ কুঁকড়িয়ে কপালে নেমে আসাটা একটু অদ্ভূত লাগছিল। তিনি এমন একটি ভাব করেছিলেন যেন তিনি স্বেচ্ছায় ও রকম সেজেছিলেন। কিন্তু না, এটি ছাড়া আদপে তাঁর কাছে আর কোনও রাস্তা ছিল না।
এ ছাড়াও সেই প্রতিযোগিতায় র্যাম্পে হাঁটার সময়ে তাঁর পোশাক খুলে যায় সামনে থেকে। পর মুহূর্তে তিনি মাথা খাটিয়ে উপায় বের করেন। জামাটা আটকে রাখতে হবে। কিন্তু কাউকে বোঝানো যাবে না। তিনি হাতদু’টিকে বুকের সামনে এনে ‘নমস্কার’-এর ভঙ্গিতে হাঁটতে থাকেন। দর্শক ও বিচারকরা ভেবেছিলেন তিনি ওই ভঙ্গিতেই হাঁটছেন। কিন্তু আদপে তিনি পোশাক খুলে যাওয়ার হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করছিলেন।
এত কিছুর পরেও সেরার শিরোপা পেয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কাই। বিশ্বসুন্দরীর মুকুট তাঁরই মাথায় উঠেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy