নেতাজির চরিত্রে প্রসেনজিৎ।
নেতাজি না কি গুমনামী বাবা, আসল চ্যালেঞ্জ কোনটা ছিল? সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় দু’জনেই জানালেন, আসল চ্যালেঞ্জ নেতাজির চরিত্রটিই। নেতাজিকে নিয়ে এত দিন পর্যন্ত অনেক ছবিই তৈরি হয়েছে। সে সব কিছুকে ছাপিয়ে একটা স্বতন্ত্র প্রচেষ্টা করতে চেয়েছেন সৃজিত, তাঁর ‘গুমনামী’ ছবিতে। বলছিলেন, “নেতাজিকে নিয়ে যতই কাজ হোক, এই ব্যক্তিকে নিয়ে আগ্রহ কোনও দিনই কম হওয়ার নয়। বিমান দুর্ঘটনার পরে কী হয়েছিল? নেতাজি বেঁচে ছিলেন কি না? গুমনামী বাবা বা ভগবানজি আসলে কে? এই রকম নানা প্রশ্ন উঠে এসেছে ছবিতে। অন্যান্য ছবির সঙ্গে আসল তফাত হল, গুমনামী প্রসঙ্গ অন্য কোথাও উঠে আসেনি।’’ যে কারণে প্রসেনজিৎ বলছেন, তাঁর পক্ষে গুমনামীর চরিত্রটা করা খানিক সহজ ছিল। কারণ এই চরিত্রটি নিয়ে কারও কোনও ধারণা ছিল না। তাই নিজেদের মতো করে করতে পেরেছেন। তবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে নেতাজির চরিত্রের জন্য। ওজন বাড়িয়েছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগেছে মেকআপ করতে এবং তা তুলতে। “তিন ঘণ্টার বেশি সময় লাগত মেকআপ করতে, দু’ঘণ্টা ধরে তুলতে হত। নেতাজির ভিডিয়ো দেখে তাঁর হাঁটাচলা, কথা বলা রপ্ত করতে হয়েছে। মাস তিনেক ধরে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে,” বললেন প্রসেনজিৎ।
গুমনামী বাবার ভূমিকায়।
অভিনেতাকে নেতাজির আদলে গড়ার চ্যালেঞ্জটা ছিল সবচেয়ে কঠিন। সৃজিত জানালেন, অর্থোডেনটিস্ট, প্রস্থেটিক সব কিছুর সাহায্যেই তিনি প্রসেনজিতের লুকটি তৈরি করেছেন। “আমরা সাত-আটটা লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পরে ফাইনাল লুক ঠিক করলাম,’’ বক্তব্য সৃজিতের। প্রসেনজিতের লুক তৈরিতে তাঁকে সাহায্য করেছেন মেকআপ শিল্পী সোমনাথ কুণ্ডু।
ছবির দৃশ্য।
লুক নিয়ে যতটা রিসার্চ করেছেন, ছবির কাহিনি নিয়েও ততটাই গবেষণা করেছেন পরিচালক। সৃজিতের কথায়, ‘‘মুখার্জি কমিশনের একটা রিপোর্টের ভিত্তিতেই কাহিনির অনেকটা অংশ তৈরি।” ছবিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, তনুশ্রী চক্রবর্তী।
দুর্গাপুজোয় প্রসেনজিৎ-সৃজিত জুটি বরাবরই চমক দিয়েছে। ‘গুমনামী’ও মুক্তি পাচ্ছে পুজোয়। কাকাবাবুর খোলস ছেড়ে নতুন চরিত্র নিয়ে এসে এই জুটি কতটা সাফল্য পায়, এখন সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy