আমি দেশের বাইরে। সেখানে বসেই খবর পেলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, তরুণ মজুমদার আর নেই। শুনেই ভেঙে পড়েছি। ভেঙে পড়ার মতোই খবর। চারপাশটা কেমন যেমন ফাঁকা লাগছে! মনে হচ্ছে, আমরা শেষ। আমাদের বাংলা ছবির দুনিয়ার ভাঁড়ার যেন নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। যে সমস্ত পরিচালকদের নিয়ে বাংলা ছবির দুনিয়া, আমরা, গর্বিত তাঁদের মধ্যে অন্যতম তরুণ মজুমদার। আমার ‘তনু জেঠু’।
টলিউড বরাবরই রত্নগর্ভা। সত্যজিৎ রায়, মৃণাল সেন, ঋত্বিক ঘটক, অজয় কর, তপন সিংহ প্রকৃতির নিয়মে একটা সময়ের পরে আর ‘নেই’। আমাদের শেষ 'মহীরুহ' তরুণ মজুমদার। তিনিও চোখ বুজলেন। আমরা আবারও অভিভাবকহীন। তনু জেঠু আমার গুরু। ওঁকে আমি সেই আসনেই বসিয়েছিলাম। বয়স হয়েছিল। অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন। তবুও বটগাছের মতোই আমাদের মাথার উপরে ছিলেন তো!