বাড়ি ফিরতে পারবেন কি না, সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় অভিনেতা আর মাধবন। ১৭ বছর আগেও নাকি এমনটাই হয়েছিল অভিনেতার সঙ্গে। এত বছর পর ফিরে এল সেই একই স্মৃতি। লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে আটকে গেলেন মাধবন। ভারী বৃষ্টিপাত। বন্ধ লেহ্ বিমানবন্দর। ছবি পোস্ট করে অভিনেতা লেখেন, ‘‘আশা করছি, বাড়ি হয়তো ফিরতে পারব।’’
হিমাচলপ্রদেশ জুড়ে কোথাও বন্যা, কোথাও হড়পা বানের চোটে বিপর্যস্ত জনজীবন। কয়েকদিন ধরে হিমাচলের উঁচু এলাকায় টানা বৃষ্টি হওয়ায় বিপাশার জলস্তর কোথাও কোথাও বিপদসীমা ছাপিয়ে গিয়েছে। ফুঁসে ওঠা বিপাশার গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি হিমাচলের ‘লাইফলাইন’ চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সড়কও। পাড় ছাপিয়ে নদীর জল জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। তার জেরে জাতীয় সড়কের বিস্তীর্ণ অংশ নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। বিশেষ করে কুলু এবং মানালির মাঝে বেশ কয়েকটি জায়গায় জলস্রোতে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে জাতীয় সড়ক। ফলে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়ছে শয়ে শয়ে গাড়ি। আটকে রয়েছেন যাত্রীরাও। টানা দিন তিন ধরে রাস্তায় আটকে রয়েছে গাড়িগুলি। একই রকমের ভারী বৃষ্টি হচ্ছে লেহ্, লাদাখেও।
আরও পড়ুন:
২০০৮ সালে অভিনেতা মাধবন ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির শুটিংয়ে সেখানে গিয়েছিলেন। প্যাংগং লেকে শুটিং করতে গিয়ে ভারী বৃষ্টিতে সেখানে আটকা পড়ে যান। ১৭ বছর ফের লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে এ বারও একই ঘটনা ঘটল। পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করে অভিনেতা ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘‘কোনও বিমান নেই। ১৭ বছর পর ফের একই ভাবে আটকে গেলাম।’’ শোনা যাচ্ছে ‘ধুরন্ধর’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে এমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন অভিনেতা।