আবীরের সঙ্গে রাজের সম্পর্ক বহু দিনের।
দিন দুই আগে থেকে আবীর চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনে মেতেছিল শহর কলকাতা। সৌজন্যে সস্ত্রীক রাজ চক্রবর্তী।
সম্ভবত ১৬ নভেম্বর মু্ম্বই থেকে বাড়ি ফিরেছেন আবীর। জন্মদিন উপলক্ষে। ফেরার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে জন্মদিনের প্রথম খাওয়া খাইয়েছেন রাজ-শুভশ্রী। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে সন্ধেতেই অভিনেতা সস্ত্রীক উপস্থিত ‘রাজবাড়ি’। তার পরেই দেদার আড্ডা। আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন রাজ। কী নিয়ে আড্ডা হল? নতুন ছবিতে আবার জুটি বাঁধছেন? উত্তর দিতে গিয়ে হেসে ফেলেছেন পরিচালক। জানিয়েছেন, অতিমারির খরা কাটিয়ে আবার প্রেক্ষাগৃহ খুলেছে। এখন দর্শক টানতে ‘প্রলয়’ বা ‘কাঠমুণ্ডু’-র সিক্যুয়েল দরকার। সে কথাই আলোচনায় উঠে এসেছে। জুটি বাঁধার প্রসঙ্গে রাজের দাবি, চিত্রনাট্যকার পদ্মনাভ দাশগুপ্ত যদি টানটান গল্প বুনতে পারেন তা হলে অবশ্যই আবীরকে নিয়ে ছবি হবে।
জমায়েতে শুধুই আড্ডা ছিল না। ইউভানের সঙ্গে খেলাধুলোও করেছেন ‘সুইৎজারল্যান্ড’-এর ‘শিবু’। সুযোগ পেয়েই কোলে তুলে নিয়ে আদর করেছেন রাজ-পুত্রকে। দুলিয়ে দিয়েছেন এক রত্তির ঝাঁকড়া চুল। আবিরের আদরের চোটে ছটফটিয়ে উঠে ছিটকে কোল থেকে নেমেছে ইউভান। তার পরেই দু’জনে লুকোচুরি খেলায় মত্ত! সেই খেলার যোগ দিয়ছিল শুভশ্রীর আদরের সারমেয়ও।
আর ছিল ঢালাও ভুরিভোজ। রাজের কথায়, ‘‘আবীর সব খায়। ওকে নিয়ে কোনও ঝামেলা নেই। আমাদের বাড়িতে তিনটি পদ খুব ভাল বানান রাঁধুনি রবি। বিরিয়ানি, পোলাও, পাঁঠার মাংস। তার থেকে দুটো পদ পোলাও আর পাঁঠার মাংস প্রাক জন্মদিনে খাইয়েছি আবীরকে।’’ প্রিয় পদ পেয়ে নাকি এতটাই খেয়ে ফেলেছিলেন অভিনেতা যে আড্ডা দিতে দিতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। মাঝ রাতে তাঁকে তুলে বাড়ি পাঠিয়েছেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক।
চক্রবর্তী পরিবারকে ‘ফেরত উপহার’ কী দিলেন ‘ডিকশনারি’র ‘অশোক সান্যাল’? ‘‘আবীর উপহার দেবে! ও নাকি নিজেই জীবন্ত উপহার। নিমন্ত্রণ রক্ষা করে বলেছে, ‘‘এই যে আমি সশরীরে এসেছি, এতে তুমি ধন্য হওনি?’’ হাসতে হাসতে দাবি রাজের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy