সারমেয়প্রেমীদের ফের খোঁচা দিলেন রামগোপাল বর্মা। এ বার রাজনীতিবিদদের কামড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন পরিচালক। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, দিল্লি-এনসিআর এলাকার রাস্তায় পথকুকুরদের আর ছেড়ে রাখা যাবে না। নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে হবে তাদের। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন পশুপ্রেমীরা। টিকাকরণ ও নির্বীজকরণের দায়িত্ব প্রশাসনের। তা না করে পথকুকুরদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া ‘অমানবিক’ বলেও দাবি করেছেন অনেকে। এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলির কোনও অস্তিত্ব রয়েছে কি না সেই প্রশ্নও উঠেছে। এই প্রসঙ্গে পশুপ্রেমীদের উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রামগোপাল বর্মা।
কুকুরদের বিশ্বস্ত স্বভাব নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন রামগোপাল। তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, “কুকুররা বিশ্বস্ত হয়, কারণ বিশ্বাস ভাঙতে হয় কী ভাবে, সেটাই ওরা জানে না। সারমেয়প্রেমীরা প্রায়ই বলেন, মানুষের থেকে কুকুর ভাল। আসলে আপনাদের এই মন্তব্য প্রিয় কুকুরদের জন্য নয়, মানুষের জন্যই।”
আরও পড়ুন:
মানুষ যে কোনও প্রাণীকেই ভালবাসতে পারে। মানুষ, কুকুর, বিড়াল, মশা, ইঁদুর, এমনকি করোনা ভাইরাসকেও কেউ ভালবাসতেই পারেন, কিন্তু নিজের বাড়িতে রেখে, মত রামগোপালের। তিনি বলেছেন, “বর্তমানে আমরা কথা বলছি কিছু পথকুকুর নিয়ে, যারা ক্রমাগত শিশুদের হত্যা করে চলেছে।”
এখানেই শেষ নয়। রাজনীতিবিদ ও বিচারপতিদের কামড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রামগোপালের কথায়, “সারমেয়প্রেমীরা সরকার ও প্রশাসনকে দোষ দিচ্ছেন। এই পশুপ্রেমীদের উচিত আধিকারিক ও রাজনীতিবিদদের গিয়ে কামড়ে দেওয়া। আধিকারিকদের পায়ে ও শরীরের অন্য অংশে গিয়ে কামড়ে দেওয়া উচিত ওঁদের। এতে ওঁরা দ্রুত সমাধান পাবেন। তবে এর পাশাপাশি বেচারা শিশুগুলোর কথাও ভাবা উচিত, যাদেরকে এই কুকুরগুলো আক্রমণ করে।”
রামগোপাল বরাবরই মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেন। কোনও কিছু ঘটলে স্রোতের বিপক্ষেই মন্তব্য করেন তিনি। এ বারও সেই একই ধারা বজায় রাখলেন তিনি। এই মন্তব্যের পর থেকে কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন পরিচালক।