প্রযোজকের আরও দাবি, একই ঘটনা নাকি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘চতুষ্কোণ’ ছবি তৈরির সময়েও ঘটিয়েছিলেন অঞ্জন। শেষ মুহূর্তে তিনি জানিয়েছিলেন, ছবিতে অভিনয় করবেন না। তার পর নাকি ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শনিবারে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাই প্রযোজকের দাবি, ‘কেউ কি জানেন, গিটার হাতে দত্তবাবু কতটা নোংরা?’ ধোঁকাবাজির জন্য ইতিমধ্যেই তিনি একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন ওঁকে।
অঞ্জন দত্ত এবং রানা সরকার
প্রতি শনিবার ইন্ডাস্ট্রির এক জনের মুখোশ খুলবেন প্রযোজক রানা সরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই কথা দিয়েছিলেন। চলতি সপ্তাহান্তে তিনি অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা অঞ্জন দত্তকে। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে প্রযোজকের দাবি, ‘বেলা বোস’ ছবিটি তৈরি করবেন কথা দিয়েও তুচ্ছ অজুহাতে নাকি পিছিয়ে গিয়েছেন পরিচালক। এ দিকে প্রযোজক ইতিমধ্যেই ছবির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছেন। রানার দাবি, ইতিমধ্যে নানা খাতে প্রাথমিক ভাবে ছবিটির পিছনে অর্থব্যয় করেছেন তিনি। পরিচালককেও নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আগাম দিয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনি সম্মানহানির মুখোমুখি। তাই অঞ্জনের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটতে চলেছেন রানা। তাঁর দাবি, হয় ছবিটি পরিচালনা করতে হবে নয়তো আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে অঞ্জনকে। সেই মর্মে আইনি নোটিসও পাঠিয়েছেন।
কেন ছবি পরিচালনা থেকে পিছিয়ে এলেন অঞ্জন? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল ‘মানবজমিন’-এর প্রযোজকের থেকে। রানার কথায়, ‘‘ছবির গল্প অঞ্জনদার। চিত্রনাট্যও তাঁর। আমায় সেই চিত্রনাট্য জমা দিয়ে বলেছিলেন, আমার জীবনের সেরা ছবি হতে চলেছে। চিত্রনাট্য পড়ে আমারও ভীষণ পছন্দ হয়েছিল। তাই এক কথায় রাজি হয়েছিলাম। এখন বলছেন, ছবির চিত্রনাট্য নাকি খুবই খারাপ হয়েছে। তিনি ছবিটিই আর করবেন না!’’ এখানেই দ্বিচারিতার অভিযোগ আনছেন রানা। যুক্তি, অঞ্জন ছবিটি পরে করবেন বললেও কথা ছিল। সামান্য কারণ দেখিয়ে সরে আসার পিছনে তিনি অন্য কোনও গন্ধ পাচ্ছেন।
প্রযোজকের আরও দাবি, একই ঘটনা নাকি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘চতুষ্কোণ’ ছবি তৈরির সময়েও ঘটিয়েছিলেন অঞ্জন। শেষ মুহূর্তে তিনি জানিয়েছিলেন, ছবিতে অভিনয় করবেন না। তার পর নাকি ফোন বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শনিবারে সোশ্যাল মিডিয়াতে তাই প্রযোজকের দাবি, ‘কেউ কি জানেন, গিটার হাতে দত্তবাবু কতটা নোংরা?’ ধোঁকাবাজির জন্য ইতিমধ্যেই তিনি একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন ওঁকে। আনন্দবাজার অনলাইন যোগযোগের চেষ্টা করেছিল ‘রঞ্জনা আমি আর আসব না’-র পরিচালকের সঙ্গে। ফোনে তিনি অধরা।
বিরোধী কোনও প্রযোজক সংস্থার কলকাঠি নাড়ানোয় কি পুরো ঘটনাটি ঘটল? জানেন না রানা। তবে এ-ও জানিয়েছেন, অঞ্জন নাকি বদলে তাঁকে দেয় অর্থ এবং সঙ্গীত পরিচালনা বাবদ তাঁর ছেলে নীল দত্তকে দেয় অর্থ ফেরত দিতে চেয়েছেন। হোয়াটসঅ্যাপ করে সে কথা লিখে জানিয়েছেন প্রযোজককে। তার পরেও কেন আইনি নোটিস পাঠাচ্ছেন রানা? প্রযোজকের দাবি, ‘‘১০টি ছবির তালিকায় ‘বেলা বোস’ও ছিল। ছবিটি তৈরি না হলে সেই ফাঁক ভরাব কী দিয়ে? বাণিজ্যের দিক থেকেও নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। তাই দেড় লক্ষ নয়, ৫৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আমাকে। নয়তো ছবি বানাতে হবে অঞ্জনদাকে। এই মর্মেই আইনি নোটিস পেয়েছেন পরিচালক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy