প্রদীপ সরকারের স্মৃতিচারণায় রানি মুখোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
সকাল সকাল খবরটা পাওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাস করেননি রানি মুখোপাধ্যায়। রানি বলেন, ‘‘এই তো সেদিনও দাদার সঙ্গে আমার কথা হল। আমি তখন পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে। দাদার ফোন এল। আমার নতুন ছবিটা (মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে) নিয়ে অনেক ক্ষণ আমাদের কথা হল। দাদা ভিডিয়ো কল করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুর্বল নেটওয়ার্কের জন্য সম্ভব হয়নি।’’ চলতি সপ্তাহে মুম্বই ফিরে প্রদীপের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল রানির। কিন্তু তার মাঝেই আসে খারাপ খবর। রানির কথায়, ‘‘পাঞ্চালী বৌদি (প্রদীপ সরকারের স্ত্রী) আমাকে ভোর চারটে নাগাদ ফোন করে দুঃসংবাদটা দিলেন। ওঁর পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’’
কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘মর্দানি’তে প্রদীপ সরকারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রানি। ছবি: সংগৃহীত।
এই প্রসঙ্গেই রানি বলেন, ‘‘দাদার শরীর-স্বাস্থ্য বিষয়ক খবরাখবর বৌদির থেকেই পেতাম। ওঁর থেকেই শুনলাম, দাদা কিছু দিন আগেও শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন।’’ কেরিয়ারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবি ‘মর্দানি’তে প্রদীপ সরকারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন রানি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘আমার তো মনে হয়, দাদার কাছের মানুষরা তাঁর অভাব বুঝতে পারবেন, যেমন আমি এখন সেটা অনুভব করতে পারছি। দীর্ঘ সময় আমরা এক সঙ্গে বহু কাজ করেছি। তাই দাদার চলে যাওয়াটা আমার কাছে পরিবারের একজনকে হারানোর সমান।’’
জীবন যে বড়ই অনিশ্চিত, পরিচালকের স্মৃতিচারণায় সে কথাও জানিয়েছেন পর্দার মিসেস চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে এক জন মানুষের সঙ্গে কথা হল, পর মুহূর্তেই জানা গেল, সেই মানুষটা আর নেই! আমার ছবি নিয়ে উনি চারপাশ থেকে কী কী প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন, সেটা আমাকে ফোনে জানিয়েছিলেন। প্রচণ্ড খুশি আর উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দাদার স্মৃতি হিসেবে ওঁর সঙ্গে ফোনে শেষ কথোপকথনটাই মনে থেকে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy