রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকায় সৌরভ সাহা আড়াই বছর আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন।
চলতি সপ্তাহের টিআরপি তালিকায় আবার পয়লা নম্বরে ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। দক্ষিণেশ্বর মন্দির এবং মন্দির বিষয়ক নানান সমস্যা কী ভাবে রাসমণি সমাধান করছেন সে বিষয়ে দর্শকের কৌতূহল এ সপ্তাহেও ধরে রাখল ধারাবাহিকটি। গত সপ্তাহএবং এ সপ্তাহেও পেল একই সংখ্যা (১০.৮)। মন্দিরের গল্প আসার আগে টিআরপি তালিকায় কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল ধারাবাহিকটি।তাহলে কি দক্ষিণেশ্বর মন্দির এবং তরুণ রামকৃষ্ণদেব ধারাবাহিকের গল্পে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়?
ধারাবাহিকের অন্যতম পরিচালক রূপক দেবললেন,‘‘রাণী রাসমণি’-তে রানি সবচেয়ে বেশি ইম্পর্ট্যান্ট। সেটা নিয়ে কোনও প্রশ্নই নেই। রানি, মথুর (সেজ জামাই), রামচন্দ্র(বড় জামাই), রামকুমার (রামকৃষ্ণর দাদা),রামকৃষ্ণ (গদাই), হৃদে (গদাইয়ের ভাগ্নে)— গল্পে সবাই ইম্পর্ট্যান্ট।”
রামকৃষ্ণদেবের ভূমিকায় সৌরভ সাহা আড়াই বছর আগে থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। অন্তর ও বাইরের প্রস্তুতি। তাঁর বিষয়ে রূপক বললেন, ‘‘রাসমণি’ শুরু হওয়ার প্রায় প্রথম দিক থেকেই সৌরভের লুক সেট হয়। এতদিন ধরে পেসেন্স নিয়ে ও অপেক্ষা করেছে, নিজেকে প্রিপেয়ার করেছে। খুবই পরিশ্রমী এবং সৎ অভিনেতা।”
আরও পড়ুন-পঁচাত্তরের বর, ঊনপঞ্চাশের কনে, ‘নয়া’ ঘর বাঁধলেন দীপঙ্কর-দোলন
‘রামকৃষ্ণ’ সৌরভ মনে করেন, “শুধু টিআরপি দিয়ে একটা শোয়ের বিচার হয় না। কিন্তু আমাদের সিরিয়াল মানুষের আরও ভাল লাগবে। এই আশা করি।”
রাসমণি দিতিপ্রিয়া
দক্ষিণেশ্বরের রাধাগোবিন্দর মন্দিরে গোবিন্দ মূর্তির পা ভেঙেছিল, এখনও সে মূর্তি পূজিত হয়। রাধাগোবিন্দ মন্দিরের পূজারী ক্ষেত্রনাথবাবুর হাত থেকে মূর্তি পড়ে পা ভাঙে মূর্তির। চিন্তিত রাসমণি। ভাঙা মূর্তির পুজো হবে না। পণ্ডিতদের বিধান, ভাঙা মূর্তি ভাসিয়ে দিতে হবে। রামকৃষ্ণদেব সায় দিতে পারেন না। তিনি রানিকে বোঝান, রানির কোনও জামাইয়ের পা ভেঙে গেলে রানি কি তাঁকে ত্যাগ করবেন? নাকি তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন? তাহলে মূর্তি জোড়া লাগিয়ে পুজো করতে সমস্যা কোথায়? এই গল্পের সুতো বেঁধেই প্রথম স্থান ধরে রাখল‘রাসমণি’।
এই মুহূর্তে গল্পে দেখা যাচ্ছেরামকৃষ্ণদেবের ওপর বিশ্বাস বেড়ে গিয়েছে রানির।এদিকে রানিমার বড় নাতি মহেন নানানদুষ্কর্মে জড়িয়ে পড়ে, ব্যবসায় টাকাপয়সা তছরুপ করে, চক্রান্তের শিকার হয়। রানিমা, মথুর, বাড়ির সবাই কী ভাবে মহেনকে এসব থেকে বের করে আনবেন? আদৌ কি সম্ভব হবে?এদিকে বাড়ির মেয়েদের শিক্ষিত করে তোলার জন্য রানি বিদ্যাসাগরের সাহায্য নিচ্ছেন। পর্দানসীন বঙ্গঅন্দরমহলে চুঁইয়ে পড়তে শুরু করেছে শিক্ষার আলো, পৌঁছে যাচ্ছে আধুনিক জীবনের এক চিলতে ছোঁয়া।
আরও পড়ুন- বিলাসবহুল হোটেলের ‘হাই প্রোফাইল’ মধুচক্র থেকে উদ্ধার তিন অভিনেত্রী
ধারাবাহিকটির সামনে এখনও অনেক পথ বাকি। ধারাবাহিকের অন্যতম পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস তাই মনে করেন, “একটা জিনিস ভুললে চলবে না সিরিয়ালটার বয়স আড়াই বছর। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে খুব কম সিরিয়াল আছে এর আগে শুরু হয়ে এখনও চলছে। রাসমণির জীবন কাহিনি এতটাই বিশাল যে আরও অনেক দিনই চলার কথা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy