কখনও আলাউদ্দিন খিলজির মতো হিংস্র। কখনও আবার রকি রণধাওয়ার মতো সদা-উত্তেজিত। পর্দায় তাঁকে এমন রূপে প্রায়ই দেখা যায়। বাস্তবেও নাকি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানী’ ছবির রকি রণধাওয়ার মতোই প্রাণোচ্ছল রণবীর সিংহ। সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন। এমন একজন মানুষকে বিয়ে করে সংসার করার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দীপিকাকে বিয়ে করার আগে নাকি কর্মক্ষেত্রে হিমশিম খেয়েছিলেন রণবীর। ছবির সেটে সকলের কাছে ক্ষমা পর্যন্ত চাইতে হয়েছিল তাঁকে। ঠিক কী ঘটেছিল? ‘সিম্বা’ ছবিতে রণবীরের এক সহ-অভিনেতা বিজয় পটকর বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছেন।
সেই সময়ে ‘সিম্বা’ ছবির শুটিং চলছে। দিনে টানা ২০ ঘণ্টা করে শুটিং চলত। কিন্তু তা-ও কখনও ধৈর্য হারাতেন না রণবীর। বরং নিজের কাজ নিয়ে সব সময়ে সতর্ক থাকতেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত কাজ করতেও রাজি ছিলেন। আর কথায় কথায় রণবীর বলতেন, “আমার বিয়ে হচ্ছে। এটুকু তো আমাকে করতেই হবে।”
আরও পড়ুন:
বিজয় বলেছেন, “ছবির সেটে বড়দের খুব শ্রদ্ধা করেন রণবীর। বড়রা ওঁর সঙ্গে কথা বললে তিনি মন দিয়ে তা শোনেন। ‘আমি বড় তারকা’, এই ধরনের ভাব নেই ওঁর মধ্যে। শ্রোতা হিসেবে খুব ভাল রণবীর। সেই জন্যই তিনি কাজটা এত ভাল করেন।” এর পরেই ‘সিম্বা’র শুটিং সম্পর্কে বিজয় বলেন, “‘সিম্বা’ ছবির শুটিং চলাকালীন আমি রণবীরকে বলতাম, ‘তোমার চোখটা দেখো। চোখের তলায় কালি পড়ে যাচ্ছে।’ এই সব শুনে রণবীর বলেন, ‘কী আর করা যাবে! বিয়ে করছি। এখন তাই এই সব করতেই হবে।’” বিয়ে করতে যাচ্ছেন বলে কাজে কোনও খামতি রাখেননি রণবীর।
রণবীর সম্পর্কে বিজয় আরও বলেন, “টানা ২০ ঘণ্টা শুটিং করতেন রণবীর। টানা সাত দিন মাত্র ২-৩ ঘণ্টা ঘুমিয়েছিলেন। কাজ থেকে কিছু ক্ষণ বিরতি নিতে বলা হলেই বার বার বলতেন, ‘বিয়েটা আমার। তাই বিয়ের আগে আমার কাজ আমাকেই শেষ করে যেতে হবে।’” সময় নিয়েও খুব সতর্ক থাকতেন তিনি। এক দিন মাত্র ২ মিনিট দেরিতে পৌঁছোনোর জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন রণবীর।