Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
review

Tadap: দেখলে হবে? ‘কষ্ট’ আছে

গল্পে মোচড় ও রহস্য ভালই রেখেছেন পরিচালক। অহনকেও একাধিক সুযোগ দিয়েছেন অ্যাকশনের ও প্রেমে ঘা খাওয়া ‘কবীর সিং’ লুক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর।

নবনীতা দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৪৯
Share: Save:

দৃশ্য প্রেমেরই হোক বা অ্যাকশনের, ‘জিম’মেড বডি, নাচ... সব দিক দিয়ে বেশ ভালই প্রস্তুত হয়ে ময়দানে নেমেছেন অহন শেট্টি। পরিচালক মিলন লুথরিয়াও এমন ভাবে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন, যাতে অহন তাঁর ষোলোকলা প্রদর্শন করতে পারেন। প্রেমের ছবি হলেও একটু অন্য ভাবে গল্প বুনেছেন পরিচালক।

ছবির ইশানা (অহন) ভালবাসে রমিশাকে (তারা সুতারিয়া)। বরং বলা ভাল রমিশাই আকর্ষণ করে ঈশানাকে। প্রেমের পথে রমিশার হাত ধরে উড়তে থাকলেও মুখ থুবড়ে পড়ে ঈশানা। রমিশার বিয়ে হয়ে যায় অন্যত্র। বরের সঙ্গে সোজা লন্ডনে পাড়ি দেয় নববধূ। তারই প্রেমে তিন বছর ধরে কষ্ট পেতে থাকে ইশানা। আর রমিশার অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার শোধ তুলতে রমিশার বাবার কাজ-কারবার, বাড়িতে হামলা চালিয়ে যায় সে। তিন বছর পরে ফিরে আসে রমিশা। উন্মোচিত হয় প্রেম ভাঙার আসল কারণ।

গল্পে মোচড় ও রহস্য ভালই রেখেছেন পরিচালক। অহনকেও একাধিক সুযোগ দিয়েছেন অ্যাকশনের ও প্রেমে ঘা খাওয়া ‘কবীর সিং’ লুক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর। তার মাঝেই খাদের কিনারায় বাইকের উপরে ‘বৃক্ষাসন’ করে দর্শকের দৃষ্টিনন্দন করেছেন অহন। কিন্তু গোটা ছবির সমান্তরালে দর্শকের মনে চলতে থাকবে ‘মোহরা’য় সুনীল শেট্টির অ্যাকশন, ‘ধড়কন’-এ প্রেমবঞ্চিত সুনীলের সংলাপ। অহনের হাবেভাবে সুনীলের ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু অভিনয়ে সেই প্রাণ নেই। সিলেবাসের সব পয়েন্ট মুখস্থ করে গেলেও পড়া আত্মস্থ করার খামতি রয়ে গেল।

অহনের অভিনয়ের খামতি ঢাকতে চারপাশে ভাল অভিনেতাদের দিয়ে ঘুঁটি সাজিয়েছেন পরিচালক। ড্যাডির চরিত্রে সৌরভ শুক্ল অসাধারণ। যোগ্য সঙ্গত করেছেন দামোদরের চরিত্রে কুমুদ মিশ্র। অনেক দিন বাদে রাজেশ খেরাকে পাওয়া গেল সেই টিভির বিজ্ঞাপনের ডেভিল লুকেই। তারাও যথাযথ। তবে কেরিয়ারের গোড়াতেই এমন চরিত্র তিনি কেন বাছলেন তা বোঝা গেল না।

ছবির গল্প বাস্তবচরিত্র থেকে ধার করা, কিন্তু মেকিংয়ে গল্পের গরুর অবাধ বিচরণ। পাহাড়ি রাস্তায় ব্লাস্টের মাঝেই বাইক নিয়ে ইশানার দেহরাদূন থেকে মুসৌরি পাড়ি। পুলিশ বা কোনও নিরাপত্তা বাহিনী তাকে আটকায় না। বাইক উড়ে গিয়ে মুখ থুবড়ে রাস্তায় পড়ে গেলেও ইশানা দৌড়ে মুসৌরি পৌঁছে যায়। এতটা বাড়াবাড়ি না দেখালেও চলত। আর অহনের অভিনয়ের ত্রুটিবিচ্যুতি ঢাকতে যে পরিমাণ রক্তপাত ঘটিয়েছেন পরিচালক, তা-ও অসহনীয়। রক্তাক্ত চেহারায় প্রেমের আর্তি যত না ফুটে উঠেছে, তার চেয়ে বিরক্তির উদ্রেক বেশি ঘটিয়েছে।

স্টারকিড লঞ্চ করার গুরুদায়িত্ব কাঁধে থাকায় ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন মুম্বই’, ‘দ্য ডার্টি পিকচার’-এর মতো ছবির নির্মাতাও যে কতটা ঘোল খেতে পারেন, তা স্পষ্ট এ ছবিতে। তবে তারকাসন্তানদের প্রথম ছবিতেই সব কারিকুরি দর্শাতে হবে, এই ধারণাও এ বার বদলানো দরকার। না হলে নতুন স্টারকিডরা ‘লঞ্চড’ হলেও ছবির সলিলসমাধি কেউ আটকাতে পারবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

review
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE