কৌশিক সেন এবং রেশমি সেনের সঙ্গে ঋদ্ধি সেন।
কৌশিক সেন না রেশমি সেন— অভিনেতা হিসেবে কাকে বেশি নম্বর দেবেন পুত্র ঋদ্ধি সেন?
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানাকথা’ লাইভ অনুষ্ঠানে এই প্রশ্নের উত্তর দিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ২৩ বছরের অভিনেতা। ঋদ্ধি বললেন, “অভিনেতা হিসেবে আমি দু’জনকে দু’ভাবে দেখি। যদি থিয়েটার নিয়ে বলি, তবে মঞ্চাভিনেতা হিসেবে আমি রেশমি সেনকে এগিয়ে রাখব। কারণ, মঞ্চে মা-বাবা পাশাপাশি অভিনয় করলে তখন সত্যিই মায়ের দিকে বেশি নজর চলে যায়। আর অভিনেতার তুলনায় থিয়েটারের নির্দেশক হিসেবে বাবাকে একটু এগিয়ে রাখব।”
মাত্র ১৯-এই জাতীয় পুরস্কার। বলিউডে কাজ, ঝুলিতে একের পর এক সফল ছবি। অনেকের মতে, বাবা কৌশিক সেনকেও ছাপিয়ে যাবেন ঋদ্ধি। কিন্তু তিনি নিজে কী মনে করেন? তিনি বললেন, “ছবিতে অভিনয়ের নিরিখে আমি অবশ্যই বাবাকে নিজের থেকে অনেক এগিয়ে রাখব। কৌশিক সেন আমার বাবা বলে বা বয়সে বড় হওয়ায় এ কথা বলছি না। কারণ আমার থেকে বয়সে বড় বলেই কাউকে সম্মান করতে হবে বা তাঁর নামে ভাল ভাল কথা বলতে হবে, এই শিক্ষা আমাকে ছোট থেকে দেওয়া হয়নি। যাঁর যেটা যোগ্য সম্মান, সেটা তাঁকে দেওয়া উচিত। আসলে বাবাকে নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখেছি।”
উদাহরণ দিতে গিয়ে কৌশিক অভিনীত দু’টি চরিত্রের কথা বলেছেন ঋদ্ধি। তাঁর কথায়, “সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের 'জুলফিকার’-এর আগে কেউ ভাবেননি বাবাকে ‘অ্যাকশন হিরো' হিসেবে দেখা যেতে পারে। বাবা আজ অবধি কোনও দিন জিমে যায়নি। খুবই উদাসীন শরীরচর্চা নিয়ে। ‘জুলফিকার’-এর সময় বাবাকে কোনও চরিত্রের জন্য জিমে যেতে দেখেছিলাম। অ্যাকশন হিরো হিসেবে বাবা খুবই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠেছিল।” ‘জুলফিকার’-এর পাশাপাশি সৌকর্য ঘোষালের ‘রেনবো জেলি’-র প্রসঙ্গ এনেছেন ঋদ্ধি। তাঁর মতে, সেই ছবিতে উত্তর কলকাতার এক ‘খিটখিটে কাকু’-র চরিত্রে কৌশিক নিজেকে যে ভাবে তুলে ধরেছেন, তা প্রশংসনীয়। ঋদ্ধি বললেন, “অভিনেতা হিসেবে বাবার এই রেঞ্জটা কখনও অর্জন করতে পারব কি না জানি না। কিন্তু বাবা আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy