গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
ইরখান খান আর ঋষি কপূর, দু’জনকেই মিস করব। আকস্মিক এই দুই অভিনেতার পর পর মৃত্যু আবার বুঝিয়ে দিল, জীবন একটাই… সেই জীবনকে পুরোপুরি উপভোগ করা উচিত। হাসিখুশি মেজাজে, একটা জীবন কাটানোই আসল।
প্রসেনজিৎ
দু’দিন পর পর সকালে উঠে এই মৃত্যু সংবাদ… নাহ্, আর কথা বলতে পারছি না। একে তো এ রকম ভয়ঙ্কর সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি, তার উপর এই মৃত্যু সংবাদ! ঋষিজির খবর শুনে কিছু দিন চুপ করেই রইলাম। আমার বইয়ে অনেকখানি লেখা আছে ওঁকে নিয়ে। আমার কেরিয়ারের শুরুতে ওঁর ইনফ্লুয়েন্স ভোলার নয়। শুরুতে ওঁকে ‘লাভার’স বয়’ বলা হত। কিন্তু পরে উনি আস্তে আস্তে নিজেকে ভেঙে এমন সব চরিত্র করতে শুরু করলেন যে সকলের চোখ ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন একটু গ্যাপ নিয়েছিলেন। তার পর দেখলাম বাবা, দাদু, ভিলেন-সহ নানা চরিত্র করছেন উনি। ঋষিজি আমার কাছে প্রতিষ্ঠান। ওই হাসি আজ চোখের সামনে সারা ক্ষণ ঘুরছে। ও রকম রোম্যান্টিক জেস্চার। অসাধারণ কমেডি সেন্স! উনি থাকবেন আমাদের সঙ্গে।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
কী যে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি জানি না। কালকে ইরফানের মৃত্যুর খবরের পরেই আজ ঋষি কপূর! কী চাইছেন ঈশ্বর আমাদের কাছে? জানি না… সব স্মৃতি। ওঁর ছবি অনেক ছোটবেলা থেকে দেখেছি। কি আকর্ষণীয় স্ক্রিন প্রেজেন্স! ছোটবেলা থেকেই আমি ওঁর ফ্যান। মুম্বইতে কাজ করতে গিয়েছি তখন, ছবির নাম ‘তিসরা কউন’। আমি, চাঙ্কি পান্ডে, সোমি আলি, মিঠুন চক্রবর্তী— সকলেই ছবির উদ্বোধনের পার্টিতে ছিলেন। ঋষিজি শুভেচ্ছা দিতে এসেছিলেন। ওই দিনটার কথা আজ মনে পড়ছে। অস্ট্রেলিয়াতে ওঁর ছবি ‘কপূর অ্যান্ড সনস’ দেখানো হয়েছিল। ওই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘রাজকাহিনি’ও দেখানো হয়েছিল। রোজ রাতে আমরা একসঙ্গে গল্প করতাম। মুম্বইতে ওঁর বাড়িতে গিয়েছি আমি আর সঞ্জয়। নিতুজিও খুব ভালবাসতেন আমায়। এত বড় মাপের অভিনেতা। আগামী প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন তিনি। নিজেকে ভেঙে ছবি করার পথ দেখিয়েছেন। ‘রাজমা চাউল’ থেকে ‘দোদুনি চার’, আবার ‘১০২ নট আউট’-ও নিজের স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। আজও প্রেমের গান মানেই ডিম্পল কাপাডিয়া আর ঋষি কপূরের ‘সাগর কিনারে...’। সাগরের অনেক ঢেউয়ের একটাই নাম, ঋষি কপূর।
আরও পড়ুন: ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রথম ছবিতে অভিনয়, দাম্পত্যে সাময়িক ফাটল ধরিয়েছিল সুরাসক্তি
শ্রীলেখা মিত্র
ছোটবেলা থেকে ঋষি কপূরকে দেখে বড় হয়েছি। এখনও কানে বাজছে, ‘খুল্লাম খুল্লা প্যার করেঙ্গে হাম দোনো’। প্রেম শিখেছি আমরা ওঁর অভিব্যক্তি দেখে। অভিনয় দিয়ে একটা পৃথক জায়গা করে নিয়েছিলেন নিজে। অমিতাভের সঙ্গে ‘কুলি’ করেছেন, তিনি সেকেন্ড লিড। কিন্তু অভিনয় দিয়ে নিজের জায়গাটা বুঝিয়ে দিয়েছেন। ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’-র ক্ষেত্রেও তাই। কাওয়ালি কিং বলা হত ওঁকে। ছোট-বড় যে কোনও চরিত্রেই অভিনয় দিয়ে নিজেকে আলাদা করে রেখেছিলেন ঋষি কপূর।
আরও পড়ুন: মুদিখানার বাজার করতে গিয়ে বউ নিয়ে এল ছেলে, মানতে চাইছেন না মা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy