নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শীতের হালকা আমেজ। গঙ্গাবক্ষে এক ঝাঁক তারকা। মধ্যমণি ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তিনি যে কখন কোন দেশে থাকেন, বোঝা দায়! জন্মদিনেও ছুটি নেই, কাজে ব্যস্ত। গঙ্গাবক্ষে ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’ ছবির প্রচারে এলেন অভিনেত্রী। সেখানেই জন্মদিনের উদ্যাপন।
আরও পড়ুন:
জন্মদিনেই সহকর্মীদের সঙ্গে নতুন ছবির প্রচারে ঋতুপর্ণা। ‘বার্থডে গার্ল’-এর জন্য ‘দে দে পাল তুলে দে’ গাইলেন মদন মিত্র। উপস্থিত ছিলেন সায়নী ঘোষ, ইমন চক্রবর্তী। ছিলেন ছবির পরিচালক রামকমল মুখোপাধ্যায় ও নায়িকা সঙ্গীতা সিন্হা।
নির্ধারিত সময়েই মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ে প্রমোদতরী। সকলেই প্রায় হাজির ছিলেন। সব শেষে এসে পৌঁছোন ঋতুপর্ণা। তিনি ঢুকতেই যেন ঝলমলে চারিদিক। হাসি চওড়া হল মদন-সায়নীদের। লাল চুড়িদার, মানানসই রূপটান, খোলাচুলে হাজির ঋতুপর্ণা। ঠোঁটের কোণে চেনা হাসি অমলিন।
অভিনেত্রীর জন্মদিনের কথা আগে থেকেই জানতেন বলে ইস্কনের মন্দিরে মদন মিত্র পুজো দিয়ে প্রসাদ নিয়ে আসেন ঋতুপর্ণার জন্য। এমন সময় আবেগতাড়িত অভিনেত্রীর বার বার যেন মনে পড়ে যাচ্ছিল মায়ের কথা। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘গত বছর আমার জন্মদিনের দিন মা শুভেচ্ছা জানিয়েই জ্ঞান হারান। মা-বাবাকে ছাড়া এটা আমার প্রথম জন্মদিন। তবে পরিবার ছাড়াও আরও কত আত্মীয়-বন্ধু আছেন, সেটা এখানে এসে বুঝলাম।’’ সায়নী ঘোষ শুভেচ্ছা জানালেন ঋতুপর্ণাকে। রাজনীতির প্রচার থেকে বেরিয়ে ছবির প্রচারে আসতে পেরে ঘরে ফেরার অনুভূতি সায়নীর।
গায়িকা ইমন চক্রবর্তীর জন্য নাকি ঋতুপর্ণা ‘শুভ’। ইমনের কথায়, ‘‘আমি যে গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছি তার নায়িকা ঋতুদি। সেই কারণে সারাজীবন আমার মনের কাছাকাছি রয়ে যাবেন।’’ নায়িকার জন্মদিন বলে কথা, তাঁর পছন্দের খাবার থাকবে না তা কি হয়! এ দিন নিজের হাতে ইলিশ রান্না করেন অভিনেত্রী। কলকাতার বেশ কয়েকটি ঘাট ঘুরে ফের শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফিরল প্রমোদতরী। তবে নায়িকার এখানেই ছুটি নয়। সারাদিনে রয়েছে আরও অনেক ব্যস্ততা।