শোলাঙ্কি রায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
ঋত্বিক চক্রবর্তী, শোলাঙ্কি রায় প্রথম জুটিতে মৈনাক ভৌমিকের আগামী ছবি ‘ভাগ্যলক্ষ্মী’তে। ছবিতে সাম্প্রতিক কলকাতার একাধিক সমস্যা উঠে আসতে চলেছে। এ দিকে বাস্তবে কলকাতা উত্তাল আরজি কর-কাণ্ডে। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঋত্বিক-শোলাঙ্কি প্রতি মুহূর্তে সরব। শোলাঙ্কি প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছেন। ঋত্বিক পথে না নামলেও সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মৈনাক এই প্রথম সমস্যার গল্প দেখাবেন। অভিনয় করতে গিয়ে বর্তমান সময়ের একাধিক জ্বলন্ত ইস্যু কতটা ছায়া ফেলেছে ?
শোলাঙ্কির কথায়, “অবশ্যই ছায়া ফেলেছে। কারণ, এই ঘটনা ভুলিনি। ভোলার কথাও না। বরং সঙ্গে নিয়ে চলেছি। তা ছাড়া, আমরা এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি যে, কোনও ভাবেই তাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।” একটু থেমে আরও যোগ করেছেন, “যদিও চারিদিক থেকে নানা ভাবে আরজি কর-কাণ্ড ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু, এ বার আর ভুলে যাওয়া যাবে না। এ বার আর ভুলে যাওয়া হবেও না। মানুষ এ বার শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়েছে। যখন মানুষ শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়ায়, তখন বিষয়টির গুরুত্ব অনেক বেশি বেড়ে যায়।”
যদিও এই মুহূর্তে আন্দোলনের পাশাপাশি পুজোর আমেজ শহর জুড়ে। কিন্তু মৈনাকের ছবির শুটিং যখন হয়েছে, তখন আরজি কর-কাণ্ডের তীব্রতা প্রত্যেকের মনে দগদগে ঘায়ের মতো। সেটে যখন দুই প্রতিবাদী একত্রে, তখন নিশ্চয়ই এই অধ্যায় নিয়ে কথা হত? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল ছবির নায়িকা শোলাঙ্কির কাছে। তিনি বলেছেন, “অবশ্যই কথা হত। আমরা আমাদের ভাবনা, আমাদের খারাপ লাগা ভাগ করে নিতাম। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হত। ন্যায়-অন্যায় নিয়ে প্রশ্ন তুলতাম।” তবে টানা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার অবকাশ পেতেন না তাঁরা, এ কথাও জানাতে ভোলেননি। শুটিংয়ের অবসরে নানা কথার ফাঁকে আরজি কর-কাণ্ডও জায়গা করে নিত। তাঁর মতে, এই ধরনের আলোচনা বেশি হলে মন আপনা থেকেই অবসদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। কোনও সৃষ্টিশীল কাজ তখন আর সম্ভব হয় না। তা ছাড়া, পর পর দৃশ্যের শুট থাকত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy