মঙ্গলবারই জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ময়মনসিংহে সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। সে দেশের সংবাদপত্র ‘দ্য ডেলি স্টার’ এবং ‘প্রথম আলো’য় এই খবর প্রকাশ হতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা, স্বয়ং স্বনামধন্য সাহিত্যিক-সম্পাদক উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতিজড়িত তাঁদের পৈতৃক বাড়িটি নাকি ভেঙে ফেলা হচ্ছে। ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত। এই সংবাদ অত্যন্ত দুঃখের।’’ এই ঘটনার প্রকাশ্যে আসার পর এ বার সে দেশের সরকারকে চাঁছাছোলা আক্রমণ করলেন অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায়।
অভিনেত্রী বলেন, ‘‘এই বাড়িটা ভেঙে তারা এটাই বার্তা দিল যে, আসলে ওরা শিল্পকে ভয় পায়। হিংসায় উস্কানি দেয়। এই কাজ তাদের মুখোশ খুলে দিল। অত্যন্ত বিরক্ত। মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধানে এরা ভারতরত্ন সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি ভেঙে ফেলল কোন আক্কেলে!’’
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দাবি, ময়মনসিংহ শিশু অ্যাকাডেমি হিসেবে ব্যবহার করা হত জেলার সদর শহরের হরিকিশোর রায় রোডের প্রাচীন ওই বাড়িটি। ২০০৭ সালের পর থেকে আর বাড়িটির কোনও ব্যবহার হয়নি। পরিত্যক্ত বাড়িটি ভেঙে তাই বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনায় কাজ শুরু করছে শিশু অ্যাকাডেমি, যা নিয়ে দানা বেঁধেছে বিতর্ক। ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সেনাশাসক হুসেন মহম্মদ এরশাদের সময় ওই ভবনটি ব্যবহার শুরু করেছিল শিশু অ্যাকাডেমি। ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি, ২০০৭-এর পর থেকে বাড়িটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে ছিল। কোনও সংস্কার হয়নি।