সঞ্জয় লীলা ভন্সালী আপাতত আমেরিকায় রেকি করছেন ‘ইনশাল্লাহ’র। সলমন খান এবং আলিয়া ভট্ট এই ছবিতে প্রথম বার জুটি বেঁধেছেন। সঞ্জয়ের সঙ্গে আলিয়ারও এটি প্রথম কাজ। জানা গিয়েছে, অরল্যান্ডো এবং মিয়ামির সমুদ্র সৈকতে ছবির লোকেশন ফেলবেন পরিচালক। সাধারণত ভন্সালীর ছবি মানেই বিরাট সেট, জাঁকজমকের চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ বার তিনি রিয়্যাল লোকেশনেই শুটিং করার কথা ভেবেছেন। এবং ‘ইনশাল্লাহ’ একেবারেই তরুণ দর্শকের কথা ভেবে বানাতে চলেছেন পরিচালক। তবে কাস্টিং ঘোষণা হওয়ার পরে আলিয়া এবং সলমনের বয়সের ব্যবধান নিয়ে একটা চর্চা শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, চিত্রনাট্য এমন ভাবেই লেখা যেখানে বয়সের ব্যবধানটা যুক্তিপূর্ণ। ‘ইনশাল্লাহ’য় সলমনের চরিত্রটি এক মাঝবয়সি ব্যবসায়ীর। চরিত্রটির বয়স হলেও মনের দিক থেকে সে এক জন সজীব তরুণ। দারুণ সুপুরুষ, স্টাইলিশ সানগ্লাস আর ডিজ়াইনার জ্যাকেট পরেই চরিত্রটিকে বেশি দেখা যাবে। তবে সে প্রেমে বা কমিটমেন্টে বিশ্বাস করে না। আলিয়ার চরিত্রটি আবার মধ্য কুড়ির এক যুবতীর, যে অভিনেত্রী হতে চায়। সঞ্জয় ঠিক করেছেন, বারাণসী, হৃষীকেশ বা হরিদ্বারের মধ্যে কোনও জায়গার মেয়ে হিসেবে তাকে দেখানো হবে। চরিত্রটি প্রেমে বিশ্বাসী। সলমনের চরিত্রের বাবা তার সম্পত্তির মালিকানা ছেলেকে দিতে চায় একটি শর্তের বিনিময়ে, ছেলেকে প্রেমে পড়তে হবে। এই প্রেমের অভিনয় করার জন্যই আলিয়ার চরিত্রটির এন্ট্রি হয়। তার পরে দু’জন কী ভাবে মন দেওয়া-নেওয়া করে, সেটাই গল্পের সারমর্ম।
তবে এই গল্পের সঙ্গে অনেকেই মিল পাচ্ছেন সলমনের একটি পুরনো ছবির সঙ্গে। ঊর্মিলা মাতণ্ডকরের সঙ্গে সেই ছবির নাম ছিল ‘জানম সমঝা করো’। এই ছবিতেও সলমনের চরিত্রটি ধনী এবং ঊর্মিলা বার-গায়িকার ভূমিকায়। প্রেমের নাটক করতে গিয়েই তারা একে অপরকে ভালবেসে ফেলে। ‘ইনশাল্লাহ’ পুরনো ছবির অনুপ্রেরণাতেই বানানো কি না, সেই জল্পনাই চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy