চিরঞ্জীবির সঙ্গে ‘গডফাদার’ ছবিতে অভিনয় করবেন বলিউডের ‘চুলবুল পাণ্ডে’। সেই প্রসঙ্গে মুম্বই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করেন তিনি, “আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, কেন বলিউডের ছবি দক্ষিণ ভারতে ভাল করছে না! আর বলিউডে দক্ষিণী ছবি এত ভাল ব্যবসা করে বেরিয়ে যাচ্ছে।’’
‘আরআরআর’ ছবিটি দেখে উচ্ছসিত সলমন রাম চরণের অভিনয়ের বিশেষ প্রশংসা করে বলেন, “খুব ভাল কাজ করছে রাম চরণ। এই তো ওর জন্মদিনে ওকে শুভেচ্ছা জানালাম। ওর কাজের প্রশংসা করলাম। ওর ‘হিরোইজম’ আমার মনে হয় দর্শককে হলমুখী করেছে। “
সলমন সাংবাদিকদের যে প্রশ্ন করেছিলেন, তার উত্তর তিনি নিজেই দেন। তিনি বলেন, “দক্ষিণী ছবির ভাল করার কারণও সেই ‘হিরোইজম’। তারকাই আসল, এ কথা এ বার বলিউডকে বুঝতে হবে। বড় পর্দায় সিনেমাকে জীবনের চেয়ে অনেক বেশি ঝলমলে, রঙিন দেখাতে হবে। তবেই দর্শক ছবি দেখতে আসবে।" সলমন তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে বলতে গিয়ে জানান, তিনিই একমাত্র নায়ক যিনি বলিউডে এখনও এই ধারার ছবি করে চলেছেন। তিনি জানান সেই কারণেই ‘দাবাং’ এর মতো সিরিজ দক্ষিণ ভারতে পবন কল্যাণ তেলুগু ভাষায় করেছিলেন।
সেলিম-জাভেদ জুটির জন্যই বলিউডে এই পর্দা কাঁপানো, সব কিছু করতে পারা দুরন্ত নায়কের প্রভাবের ঢেউ আরব সাগরের তীরে আছড়ে পড়েছিল। সেই ধারাই এখন যে টলিউডে ছড়িয়ে পড়েছে তা-ই নয়, সেই ধারার উপর নির্ভর করে সলমনের মতে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বা টলিউড আরও অনেক এগিয়ে গিয়েছে। দক্ষিণী ছবির ধারা লক্ করে বলিউডের 'টাইগার'-এর মনে হয়েছে, ওই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক ভাল ভাল লেখক আছেন। আর দর্শকও ছবি দেখার জন্য বসে থাকেন। ছোট ছবি হলেও দর্শক তা অত্যন্ত উৎসাহ নিয়ে দেখতে যান।
দীর্ঘ দিন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকার পরে বি টাউনের ভাইজানের মনে হয়েছে মুম্বইয়ে যাঁরা সিনেমা তৈরি করেন, তাঁদের বেশির ভাগই মুম্বইয়ের মানুষের কথা ভেবে ছবি করেন। তাঁদের ছবি তাই বান্দ্রা থেকে আন্ধেরিতেই আটকে আছে। কিন্তু তিনি পূর্ব বান্দ্রার রেললাইনের ও পারের মানুষের কথা ভেবে ছবি করেন। ছবি দেখার পর প্রেক্ষাগৃহ থেকে বেরিয়ে যদি রক্ত গরমই না হয়, তা হলে আর ছবি বানিয়ে কী লাভ? বলিউডকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন ‘স্টার’ সলমন।