‘বিবাহ’ ছবির একটি দৃশ্যে শাহিদ কপূর-অমৃতা রাও। ছবি: সংগৃহীত।
২০০৩ সালে ‘ইশক ভিশক’ ছবিটি দিয়ে বলিউডে পা রাখেন শাহিদ কপূর। ছবিটি জনপ্রিয় হতেই নতুন প্রজন্মের তারকা হয়ে ওঠেন তিনি। তবে ২০০৬ সালে ‘বিবাহ’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার আগে অবধি কিছু ব্যর্থতাও ছিল তাঁর। ‘বিবাহ’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর জনসাধারণ আরও আপন করে নেন তাঁকে। হৃতিক রোশন অভিনীত ‘ধুম ২’- এর সঙ্গে কড়া টক্কর দিয়েছিল এই ছবি।
তাঁর নতুন সিরিজ় ‘ব্লাডি ড্যাডি’-র প্রচারে এসে শাহিদ ফিরে দেখলেন ‘বিবাহ’ ছবির শুটিংয়ের দিনগুলো।তিনি জানান, অভিনয়ের সময় কোনও সূত্র ছিল না তাঁর কাছে। তিনি বলেন, ‘‘শুটিংয়ের বেশির ভাগ সময়টাই আমি ভাবতাম, ‘কী করছি আমি? কী হচ্ছে এটা?”
নিজেকে বড় শহরের ছেলে বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন শাহিদ। এ দিকে কত কিছুই যে জানেন না, শুটিং করতে গিয়ে বোঝেন। শাহিদ বলেছিলেন, “ছবিতে যা ঘটছিল, তার অর্ধেকই আমার মাথায় ঢুকছিল না। প্রথম শুনলাম ‘জল’ শব্দটা। জিজ্ঞাসা করলাম পরিচালককে, সেটা আবার কী?” তাঁকে বোঝানো হয়েছিল ‘জল’ মানে হিন্দিতে ‘পানি’।
এক জন নামী শিল্পীর গানে লিপ দিতে গিয়েও তিনি ভেবে সারা হয়েছিলেন। ভেবেছিলেন কী করে করবেন এ সব! কে সাহস জোগালেন অভিনেতাকে?
শাহিদ জানান, ছবির পরিচালক সুরজ বরজাতিয়ার প্রতি তাঁর অগাধ শ্রদ্ধা, তিনি কেবল পরিচালকের নির্দেশ মেনে চলেছেন।
শাহিদ বলেন, “আমি কেবল পরিচালককে অনুসরণ করে গিয়েছি। আমি বলেছিলাম, আপনি আমাকে বলুন কী করতে হবে, সেটাই করব।পরিচালক আমাকে যেমনটা বলতেন, বিনা প্রশ্নে ঠিক তেমনটাই করতাম আমি।”
শাহিদকে এ বার দেখা যাবে ‘ব্লাডি ড্যাডি’ সিরিজ়ে। পরিচালক আলি আব্বাস জ়াফর। শাহিদের সহ-অভিনেতারা হলেন সঞ্জয় কপূর, অঙ্কুর ভাটিয়া, রণিত বসু রায় প্রমুখ। সিরিজ়ে অ্যাকশন অবতারে দেখা যাবে শাহিদকে। ৯ জুন ‘ব্লাডি ড্যাডি’ সিরিজ়টি মুক্তি পেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy