শাঁওলি মিত্রের প্রয়াণে শোকবার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ফাইল চিত্র।
চলে গেলেন নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। ৭৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন তিনি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন।
মমতা বিবৃতিতে লিখেছেন, ‘শাঁওলিদির ইচ্ছাক্রমে তাঁর প্রয়াণের খবর আমাকে শেষকৃত্যের পর দেওয়া হয় আমি কিন্তু কাছের মানুষ হিসাবে তাঁকে মনে ধরে রাখলাম। আমাদের বহুদিনের সহকর্মী এবং সুহৃদ হিসেবে তিনি আমাদের মনের মণিকোঠায় থেকে যাবেন।’
মমতার লেখায় উঠে এল পুরনো দিনের কথা। যখন শাঁওলি মিত্র তাঁর সহযোগী হিসেবে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁর লেখায়, ‘আমি রেলমন্ত্রী থাকার সময় তিনি আমার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করেছিলেন। পরে আমরা দায়িত্বে এলে কিছুদিন পর তিনি বাংলা অ্যাকাডেমির সভাপতি হন এবং দায়িত্বের সঙ্গে মূল্যবান কাজ করেন। বাংলার সরকার তাঁকে ২০১২ সালে বঙ্গবিভূষণ ও ২০১৪ সালে দীনবন্ধু পুরস্কার দেয়।’
মমতা লিখলেন, ‘আমি শাঁওলিদির পরিবার- পরিজন ও অগণিত গুণগ্রাহীকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
শাঁওলির ‘নাথবতী অনাথবৎ’ বা ‘কথা অমৃতসমান’ এর মতো সৃষ্টির কথাও উল্লেখ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী টুইট করে শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘মহান নাট্যকার শাঁওলি মিত্র জীবনযুদ্ধ শেষ করে পরলোকগমন করলেন। বাংলা নাট্যজগতের এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক হারাল। প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হারালাম আমরা। খুব মর্মাহত হলাম।’
রবিবার দুপুরে মৃত্যু হয় শাঁওলির। বিকেলে সিরিটি মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শেষ ইচ্ছাপত্রে তিনি জানিয়ে গিয়েছিলেন, দাহকার্যের পর তাঁর মৃত্যুর খবর যেন জানানো হয় সবাইকে। তাঁর শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যকর্মী এবং রাজনীতিবিদ অর্পিতা ঘোষ। বাবা শম্ভু মিত্রের মতোই মৃত্যুর পরবর্তী নিয়মবিধি প্রকাশ করে গেলেন তিনি। ফুলের ভারে তাঁর দেহ যেন সেজে না ওঠে এমনই নির্দেশ ছিল তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy