দশ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। ২৫ জানুয়ারি ২০১৫-এ বিয়ে করেছিলেন সোহা আলি খান ও কুণাল খেমু। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও পরিজনকে সাক্ষী রেখে বিয়ে সেরেছিলেন তারকা জুটি। একেবারে ঘরোয়া পরিবেশে আড়ম্বরহীন ভাবে মিটেছিল অনুষ্ঠান। বয়সে ছোট কুণালকে বিয়ে করার আগে স্বামীর মনের কোন দিকটি খেয়াল রাখার উপদেশ দিয়েছিলেন মা শর্মিলা ঠাকুর!
শর্মিলা ঠাকুর তখন অভিনয় জীবনের মধ্যগগনে। ‘অ্যান ইভনিং ইন প্যারিস’ ছবিতে বিকিনি পরে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। খ্যাতি ছড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও। পরের বছরেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মনসুর আলি খান পটৌডীকে বিয়ে করে ফেললেন! হায় হায় করে উঠেছিল টিনসেল টাউন। আনাচে-কানাচে একটাই গুঞ্জন, নিজের হাতে নিজের পেশাজীবন শেষ করে ফেললেন সম্ভাবনাময়ী নায়িকা! বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। তাঁদের সফল দাম্পত্য জীবন নিয়ে গর্বিত ছেলেমেয়েরা।
যদিও সোহা জানান, বিয়ের আগে শর্মিলা তাঁকে পুরুষ মানুষের মন বুঝে চলার উপদেশ দিয়েছিলেন। সম্পর্ক সুন্দর ও দীর্ঘায়িত করতে এই পরামর্শ।
শর্মিলা মেয়েকে বিয়ের আগে বলেন, “পুরুষ মানুষের অহংবোধ থাকে, সেটাকে তাঁর স্ত্রীকে বুঝে চলতে হয়। এবং নারীর আবেগের গুরুত্ব দিতে হয় পুরুষকে।’’ সোহা জানান, তাঁর মা সৎ উদ্দেশ্য নিয়েই এই উপদেশ দেন। মায়ের দেওয়া সেই পরামর্শ মেনে চলেন সোহা। পরবর্তী কালে বন্ধু নেহা ধুপিয়ার বিয়ে সময়ও তাঁকে এই এক পরামর্শই দিয়েছিলেন সোহা।