১৬ জানুয়ারি রাতে সৎগুরু শরণ আবাসনের ১০ তলায় ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে ধীরে ধীরে নীরবতা ভাঙছেন সইফ আলি খান। আর ছ’দিন কাটলেই তাঁর উপর ঘটে যাওয়া হামলার এক মাস পূর্তি। পুলিশকে বয়ান দেওয়া ছাড়া সংবাদমাধ্যমে সে ভাবে মুখ খোলেনি খান পরিবার। তা নিয়ে অনেক জল্পনা। অবশেষে তাঁর উপর হামলার পরে বাড়ির বাকিদের কী হয়েছিল, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানালেন অভিনেতা। যদিও এত দিনে অনেকেই জেনে গিয়েছেন, তাঁর ৭ বছরের ছেলে তৈমুর রক্তাক্ত সইফকে হাত ধরে নিয়ে গিয়েছিল লীলাবতী হাসপাতালে। করিনা তখনও বুঝে উঠতে পারেননি কী করবেন। ঘটনার পরের দিন সকালে মুম্বইয়ে পৌঁছন মা শর্মিলা ঠাকুর। সইফ বাড়ি ফেরা পর্যন্ত তিনি মুম্বইয়ে ছিলেন। হাসপাতালে থাকাকালীন মায়ের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করলেন সইফ।
আরও পড়ুন:
ছ’বার ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পাঁচ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। ধবধবে সাদা পোশাক, দাড়ি কামানো আর চোখেমুখে ঔজ্জ্বল্য— এই দেখেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে থাকে, এত দ্রুত কী ভাবে সুস্থ হলেন সইফ? আদৌ কি তাঁর উপর হামলা হয়েছিল? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে। যদিও হাসপাতালে থাকাকালীন মা শর্মিলাকে একেবারে অন্য রকম ভাবে আবিষ্কার করেন সইফ। তিনি বলেন, ‘‘অস্ত্রোপচারের পর তখনও অচৈতন্য। মা এসে দুটো হাত চেপে ধরে কিছু গাইল। সম্ভবত ঘুমপাড়ানি গান গাইতে শুরু করে। কিন্তু গানটা মনে নেই। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখনও মা এমন কিছু করেনি আমার জন্য, যা এ সময় করেছে।’’
এমনকি তৈমুরকে সঙ্গে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেকে সমর্থন জানিয়েছেন শর্মিলা। ছেলের অস্ত্রোপচারের পর যাতে পরবর্তী কোনও ঘা না হয় সেই জন্য হাসপাতালের কামরায় আসা সকলকে মাস্ক পরতে এক প্রকার বাধ্য করছেন সইফের মা শর্মিলা।